আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ: এই শীতে ঠোঁট ফাটার যন্ত্রণার শেষ চাইলে পড়ুন । প্রকৃতির দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। ঠাণ্ডায় যাদের ঠোঁট ফাটে, তারা নিশ্চয়ই এরিমধ্যে আতংক অনুভব করছেন। কারণ ফাটা ঠোঁট অস্বস্তি, ব্যথা এবং এমনকি বিব্রত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভয় পাবেন না, কারণ প্রতিটি সমস্যার পেছনে রয়েছে সমাধানের পথও!
ঠোঁট ফাটার কারণ
ঠোঁট ফাটার অন্তর্নিহিত কারণগুলি বোঝা সঠিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে-
❁ শুষ্ক বায়ু (কম আর্দ্রতা)
❁ ঠাণ্ডা আবহাওয়া
❁ ঠোঁটে কামড়
❁ ধূমপান
❁ ভিটামিনের ঘাটতি (বিশেষ করে ভিটামিন বি এবং সি)
❁ এলার্জি প্রতিক্রিয়া
❁ ওষুধ সেবন (যেমন কেমোথেরাপির ওষুধ, ব্রণের ওষুধ)
❁ লিপ বাম বা লিপস্টিক
প্রতিকার
শীতকালে শরীরে পানির জোগান ঠিক রাখতে হবে। এই সময়টায় তেমন তৃষ্ণা পায় না, ফলে পানির অভাবে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন। তাই তৃষ্ণা না পেলেও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে করে ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
ঠোঁট ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। এগুলো ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন লেবু, জাম্বুরা, কমলা বেশি করে খাওয়া উচিত।
ফ্যাটি অ্যাসিড ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে, তাই ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এমন ধরনের চ্যাপস্টিক আর লিপবাম ব্যবহার করতে হবে।
ঠোঁটের লিপবামে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিরোধকারী এসপিএফ আছে কি না সেটি খেয়াল করতে হবে। তবে যতই লিপ বাম আর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগানো হোক না কেন ঠোঁটের ওপরে যদি মৃত কোষের আস্তরণ জমে থাকে, তাহলে বাম বা মাস্ক ঠোঁটের গভীরে ঢুকতে পারবে না।
লিপবাম যেন তার কাজ ঠিকমতো করতে পারে, তারজন্য ঠোঁট নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। লিপস্ক্রাব কিংবা অলিভ অয়েল আর চিনি মিশিয়ে নিজেই বানিয়ে নেওয়া যায় ঘরোয়া স্ক্রাব। স্ক্রাব মৃত কোষ ঠোঁট থেকে সরিয়ে ঠোঁটকে নরম করে তোলে।
শীতে লিকুইড লিপস্টিকের বদলে ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। লিপস্টিক পরিষ্কার করতে ক্লিনজার ব্যবহার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন:
❒ টয়লেটে ১০ মিনিটের বেশি থাকলে হতে পারে মারাত্মক সব রোগ
❒ শীতে আদা চা খাওয়ার উপকারিতা
❒ শীতে খেজুরের গুড় কেন খাবেন?
❒ একটি টুথব্রাশ কত দিন ব্যবহার করা উচিত?
❒ কোরিয়ানদের মতো ‘গ্লাস স্কিন’ ত্বক পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
❒ শীতে ত্বকের লাবণ্যতা ধরে রাখতে করণীয়
অ্যালোভেরা জেল, জোজোবা অয়েল, সিয়া বাটার, গ্লিসারিন, নারকেল তেলও ঠোঁটকে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের তেল ও লেবুর মিশ্রণ লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়। ঠোঁটে গোলাপি আভা আনতে কাঁচা দুধের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। তারপর ঘষে পরিষ্কার করে নিলে মরা কোষগুলোও উঠে আসবে।
ঠোঁটের চামড়া যদি ফেটেই যায় তবে কখনোই টেনে তোলা উচিত নয়। এতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
❑ জীবনের জন্য সচেতনতা থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুন: চা-বিস্কুট একসাথে খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

