আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: এআইয়ের উত্থানে হুমকির মুখে কোন চাকরিগুলো । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানের কারণে কোন কোন পেশা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, তা নিয়ে একটি বিস্তারিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। নিজেদের তৈরি ‘কোপাইলট’ জেনারেটিভ এআই চ্যাটবটের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের দুই লাখের বেশি কথোপকথন বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে দেখানো হয়েছে, কোন পেশাগুলোয় এআইয়ের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি এবং কোনগুলোয় সবচেয়ে কম।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিক্রয় ও যোগাযোগ সম্পর্কিত দাপ্তরিক চাকরিগুলো এআইয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এই ক্ষেত্রগুলোর অনেক কাজ এখন উন্নত সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা কোপাইলট ব্যবহারকারীদের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে দেখেছে, নির্দিষ্ট কিছু পেশার কাজের সঙ্গে এআইয়ের কাজের ধরনের কতটা মিল রয়েছে। এ ছাড়া এআই সেই কাজগুলো কতটা সফলভাবে করতে পারছে। এর ওপর ভিত্তি করে তারা পেশাগুলোর সঙ্গে এআইয়ের সম্পৃক্ততার হার নির্ধারণ করেছে।
ফলাফলে দেখা যায়, দোভাষী ও অনুবাদকদের কাজের সঙ্গে এআইয়ের সম্পৃক্ততার হার সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ৯৮ শতাংশ। অর্থাৎ তাদের কাজের প্রায় পুরোটা কোপাইলটের মতো এআই টুল দিয়ে সফলভাবে করা সম্ভব। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য পেশার মধ্যে রয়েছে ইতিহাসবিদ (৯১ শতাংশ), গণিতবিদ (৯১ শতাংশ), লেখক (৮৫ শতাংশ) ও সাংবাদিক (৮১ শতাংশ)।
অন্যদিকে যেসব পেশায় মানুষের সঙ্গে সরাসরি শারীরিক পরিশ্রম, যন্ত্রপাতি চালানো বা অন্যান্য কায়িক শ্রম জড়িত, সেগুলোর ওপর এআইয়ের প্রভাব সবচেয়ে কম। এই তালিকায় রয়েছে নার্স, টায়ার মেরামতকারী ও থেরাপিস্টের মতো পেশা, যেগুলোর সঙ্গে এআইয়ের কাজের মিল মাত্র ১১ শতাংশের কম।
আরও পড়ুন:
❒ শুধু কোডিং না আইসিটিতে আরও যেসব দারুণ সুযোগ আছে
❒ স্কুল/কলেজ থেকেই ICT ক্যারিয়ার প্রস্তুতির গাইড
❒ চাকরির সাক্ষাৎকারে ‘নিজের সম্পর্কে’ যেভাবে বলবেন
❒ প্রফেশনাল সিভি লেখার সঠিক নিয়ম
❒ চাকরির বাজারে যে ১২টি তথ্যপ্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন
তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই গবেষণা কেবল কোপাইলটের মতো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলভিত্তিক এআই সিস্টেমের ওপর করা হয়েছে। ট্রাক চালনা বা যন্ত্রপাতি পরিচালনাসংক্রান্ত পেশাগুলোতে অন্যান্য ধরনের এআইয়ের প্রভাব থাকতে পারে। যদিও ফলাফলগুলো কিছু পেশার কর্মীদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে, মাইক্রোসফটের গবেষকরা চাকরি পুরোপুরি প্রতিস্থাপিত হওয়ার আশঙ্কাকে নাকচ করেছেন।
তিনি স্কাই নিউজকে আরও বলেন, ‘এই গবেষণা মূলত দেখিয়েছে, কোন পেশাগুলো এআই চ্যাটবটকে উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করতে পারে। চাকরি কেড়ে নেওয়া বা প্রতিস্থাপন করা এর উদ্দেশ্য নয়। জেনারেটিভ এআই অনেক পেশার জন্য একটি দরকারি টুল হতে পারে। মানুষের সক্ষমতা ও ব্যক্তিগত পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে প্রযুক্তির সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে।’
❑ আইসিটি জবস থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুন: ১২৭টি শূন্য পদে স্বাস্থ্যসেবায় চাকরির সুযোগ

