Passport Status কোনটার কি মানে জানতে ক্লিক করুন, পাসপোর্ট স্ট্যাটাস কোনটার কি মানে জানতে ক্লিক করুন। পাসপোর্টের কোন স্টাটাসের কি মানে? এবং কোন স্ট্যাটাসের সময় কি করতে হবে জেনে নিন।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার শেষে পাসপোর্টটি তৈরি হতে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট থেকে শুরু করে পাসপোর্ট সংগ্রহ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধাপে শেষ হয়। আপনি যদি পাসপোর্ট আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার পাসপোর্ট আবেদনটি ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে একটি জানতে পারবেন বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে। তবে যখন পাসপোর্ট এর বর্তমান স্ট্যাটাস যাচাই করবেন তখন আপনাকে ইংরেজিতে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হবে। পাসপোর্টের কোন স্টাটাসের কি মানে? এবং কোন স্ট্যাটাসের সময় কি করতে হবে জেনে নিন।
Application Submitted
অনলাইনে সফলভাবে পাসপোর্ট এর আবেদন সম্পন্ন করার পরে অ্যাপ্লিকেশন সাবমিটেড “Application Submitted” এমন একটি স্ট্যাটাস দেখানো হবে। এমতাবস্থায় আপনাকে পাসপোর্ট আফিসে জমা দিতে হয় এমন সব কাগজ রেডি করে প্রস্তুত হতে হবে। এবং কাগজপত্র সহ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করতে হবে।
Appointment Scheduled
এই স্ট্যাটাসের মানে হলো পাসপোর্ট অফিসে আপনার সাক্ষাতের জন্য একটি সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। এই স্ট্যাটাসের সাথে তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকে। আপনি যদি এই স্ট্যাটাসটি দেখতে পান তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার পাসপোর্টের ছবি এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ এবং আবেদনের কাগজপত্র জমা নেওয়ার জন্য দিন নির্ধারিত করা হয়েছে।
Enrolment in Process
পাসপোর্ট অফিসে আপনার আবেদনপত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। আপনার আবেদনপত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্র সঠিক হলে, এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
Pending SB/DSB Police Clearance
নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে, আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার (দুই ঠিকানাতেই পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে) থানা থেকে পুলিশের মাধ্যমে একটি তদন্ত রিপোর্ট পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হয়। এটি স্থানীয় থানার একজন এসআই সম্পন্ন করবেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর কোন কিছু করার দরকার নেই।
পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরি বা ব্যবসার ধরন, পরিবারের সদস্যদের নাম, এবং আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কিনা সে সম্পর্কে তথ্য থাকে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রক্রিয়াটি দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হতে পারে অর্থাৎ বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা মিলিয়ে ৬/৭ দিন সর্বোচ্চ ১০ দিন স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ আবেদনকারীর এলাকায় এসে কিংবা থানায় আবেদনকারীকে ডেকে নিয়ে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারে। আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স যত দ্রুত হবে আপনার আবেদনটি তত দ্রুত গ্রহণ হবে।
এই সময়ে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য যা যা চাইবে তা হলোঃ
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- আবেদনকারীর পিতা, মাতা র জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা Legal Guardian এর র জাতীয় পরিচয়পত্রের
- ফটোকপি ও আইনি কাগজের ফটোকপি
- চাকুরিজীবী/ ব্যবসায়ী হলে পেশা প্রমাণের ফটোকপি , স্টুডেন্ট হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদের ফটোকপি
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ /গ্যাস বিলের ফটোকপি
আরও পড়ুনঃ নতুন নিয়মে ই পাসপোর্ট করতে কিকি কাগজপত্র লাগে?
Pending For Assistant Director/ Deputy Director Approval/ Final Aproval
Assistant Director/ Deputy Director আপনার পাসপোর্টের কাগজপত্র পরীক্ষা করেন। তিনি অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত আপনার আবেদনটি “Pending for Assistant Director/Deputy Director Approval/ Final Approval” অবস্থায় থাকবে। এই ধাপটি সাধারণত ৫/৬ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে দুই সপ্তাহের বেশি সময় হয়ে গেলে আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছায়নি বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এমতাবস্থায় আপনার থানার এসআইকে আপনি ফোন দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করতে পারেন।
Pending for Backend Verification
“Pending for Backend Verification” মানে হল, আপনার পাসপোর্ট আবেদনে আপনি যে তথ্য দিয়েছেন সেগুলি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যাচাই করা হচ্ছে। পাসপোর্ট অফিস আপনার আবেদনটি ঢাকায় প্রিন্টিং শাখায় পাঠানোর আগে নিশ্চিত করতে চায় যে সমস্ত তথ্য সঠিক। এটি সাধারণত কোন সমস্যা নয় এবং ২-৩ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হয়।
এই প্রক্রিয়াটি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি যাচাই করেঃ
- আপনার নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, জাতীয়তা ইত্যাদি
- আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ
- আপনার পূর্বে কোন পাসপোর্ট থাকলে সেটির তথ্যের সাথে এটার গরমিল রয়েছে কিনা
- আপনার আবেদনপত্রে কোন ভুল আছে কিনা
- যদি আপনার আবেদনে কোন ভুল থাকে, তাহলে আপনাকে সংশোধন করতে বলা হতে পারে
- যদি দীর্ঘদিন পেন্ডিং ব্যাক এন্ড সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে যে কারণে সমস্যা দেখাচ্ছে আপনাকে সেই সমস্যার সমাধান করে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
Aproved
আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে. এর পরে নিয়মমাফিক আপনার পাসপোর্টটি প্রিন্টিং এর জন্য পাঠানো হবে।
Pending for Print Queue
আপনার পাসপোর্টটি প্রিন্টিং শাখায় প্রিন্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষামান রয়েছে। পাসপার্টে যথাযথ বইয়ের মজুদ ও মুদ্রণ যন্ত্র সচল থাকা সাপেক্ষে ২-৩ কর্মদিবস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
Printing Succeeded
আপনার পাসপাের্টটি সফল ভাবে প্রিন্ট করা হয়েছে এবং Quality Control শাখায় পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
QC Succeed, Ready for Dispatch
সফলভাবে প্রিন্ট হওয়ার পর আপনার পাসপাের্ট বইটি Quality Control শাখা দ্বারা পরীক্ষা করা হচ্ছে যে প্রিন্টিং এ কোন ত্রুটি হয়েছে কি নাম। এই ধাপে সবকিছু ঠিক থাকার পর আপনার পাসপাের্ট আবেদনকৃত অফিসে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়।
Passport is Ready, Pending for Issuance
ঢাকা পাসপোর্ট এর হেড অফিস থেকে পাসপোর্টটি আবেদনকৃত পাসপোর্ট অফিসে আসতে ৪/৫ দিন সময় লাগতে পারে। পাসপোর্ট অফিসে এটি পৌছানোর পর বিতরণের জন্য প্রস্তুত হয়। এই স্ট্যাটাস দেখালে বুঝতে হবে আপনার পাসপোর্টটি আপনার স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছাচ্ছে। তখন মোবাইলে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য SMS পাঠানো হবে। SMS না পেলে ২ কর্মদিবস অপেক্ষা করতে হবে।
Passport Issued
পাসপোর্টটি ইতিমধ্যে আবেদনকারীর নিকট ডেলিভারি করা হয়েছে। আবেদনকারী যখন আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে তখন হাতের ছাপ এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয় এবং আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারি করা হয়েছে বলে সার্ভারে আপডেট হয়ে যায়। এবং পাসপোর্ট আবেদনটি সার্ভার থেকে Delete করতে বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করার নিয়ম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র