আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: ৬ কোটি ৬০ লাখ বছরের পুরনো বমির জীবাশ্মের খোঁজ মিলেছে । ডেনমার্কের ‘স্টিভনস ক্লিন্ট’ উপকূলীয় পাহাড়ের ধারে পাওয়া এ জীবাশ্মটি সামুদ্রিক লিলি’র পুনরায় গঠিত পাকানো দলা বা স্তূপ, যা এক ধরনের সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী ছিল বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
লাখ লাখ বছর আগে ক্রিটেশিয়াস যুগে এগুলো মাছ জাতীয় প্রাণীর খাদ্য ছিল। এক খড়ির টুকরা ভেঙে এর খোঁজ পেয়েছেন জীবাশ্ম শিকারী পিটার বেনিক।
বুধবার সিএনএন-কে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডেনমার্কের স্থানীয় জাদুঘর ‘জিওমিউজিয়াম ফ্যাক্স’ বলেছে, পূর্ব ডেনমার্কের স্টিভনস ক্লিন্টে ‘খড়ির টুকরায় লিলির এক অদ্ভুত ছোট পাকানো দলা’ দেখতে পান পিটার বেনিক।
তারপর জীবাশ্মটিকে এ জাদুঘরে নিয়ে আসেন বেনিক, যেখানে বিশেষজ্ঞরা এটি পরিষ্কার করেন এবং এ নিয়ে পরীক্ষা করেন নেদারল্যান্ডসের লিলি প্রাণী বিশেষজ্ঞ জন জ্যাগট।
তিনি বলেছেন, এ পাকানো দলায় কম করে হলেও দুটি প্রজাতির সামুদ্রিক লিলি রয়েছে, এগুলো মিলে এক গোলাকার পিণ্ড হয়েছে। সম্ভবত লিলির অপচনশীল অংশ এটি, যা উদ্ভিদ খায় এমন কোনও প্রাণীর মাধ্যমে পুনরায় গঠিত হয়েছে।
জাদুঘরটি বিবৃতিতে বলেছে, “প্রযুক্তির ভাষায় এ ধরনের সন্ধানকে রেগারজিটালাইট বলে এবং আদি বাস্তুতন্ত্রের পুনর্গঠনের সময় এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। কারণ, কোন প্রাণী এগুলোকে খেয়েছিল সে সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে এরা।”
জিওমিউজিয়াম ফ্যাক্স-এর কিউরেটর জেসপার মিলান বলেছেন, “এ জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই অসাধারণ এক আবিষ্কার।”
আরও পড়ুনঃ
❒ ৭০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কৃমির সন্ধান
❒ ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির বাজার ২০৩৩ সালে ছাড়াবে ৮০০ কোটি ডলার
❒ সাত কোটি বছরের পুরনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কার
❒ ভেঙ্গে যাচ্ছে একটি মহাদেশ অচিরেই তৈরি হচ্ছে ষষ্ঠ মহাসাগর
“সামুদ্রিক প্রাণী লিলি বিশেষ কোনো পুষ্টিকর খাবার নয়। কারণ, কম নরম টিস্যুর মাধ্যমে একসঙ্গে আটকে থাকা ক্যালসিয়াম প্লেট দিয়ে তৈরি এগুলো।”
“তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমরা এমন এক প্রাণীর খোঁজ পেয়েছি, যা সম্ভবত কোনো ধরনের মাছ, যেটি ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগের থাকা সমুদ্রের তলদেশে বাস করা লিলি খেয়েছিল। এরপর বমির মাধ্যমে লিলির কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ বের করে দেয়।”
মিলান আরও বলেন, “শিকারী ও শিকারের মধ্যে সম্পর্ক এবং ক্রিটেসিয়াস যুগের সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নতুন ধারণা দিয়েছে এই আবিষ্কার।”
❑ পরিবেশ বিজ্ঞান থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ পৃথিবীর গভীরে হিমালয়ের চেয়ে ১০০ গুণ বড় দুটি পর্বতের সন্ধান