আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: ৪ দেশের ৪ নভোচারি গেলেন মহাকাশ স্টেশনে । আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিজেদের ‘ক্রু-৭’ মিশন পরিচালনার উদ্দেশ্যে স্পেসএক্স-এর রকেটে চারজন নভোচারি পাঠিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপিত ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটটি মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে ফ্লোরিডা স্থানীয় সময় রোববার সকাল নাগাদ।
এ মিশনের চার নভোচারী চার দেশ থেকে এসেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন নাসার জাসমিন মোঘবেলি, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ‘ইএসএ’র আন্দ্রেয়াস মোগেনসেন, ‘জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি’ থেকে সাতোশি ফুরাকাওয়া ও রাশিয়ার কোনস্তান্তিন বরিসভ।
আরও পড়ুনঃ পৃথিবীকে চড়া রোদ থেকে বাঁচাতে মহাকাশে ছাতা লাগাচ্ছে বিজ্ঞানীরা
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ বলছে, রকেটের সঙ্গে যুক্ত ‘এনডিউরেন্স’ নামের ‘ড্রাগন’ শ্রেণির মহাকাশযানটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মহাকাশ স্টেশনে যুক্ত হবে। এর ফলে, কয়েকদিনের জন্য মহাকাশ স্টেশনের সর্বমোট নভোচারী সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ঠেকবে ১১ জনে। তবে, এর কিছুদিন পরই পৃথিবীতে ফিরে আসবে রকেটটি।
“স্টেশন অভিমুখে!” –মিশনটি সম্পর্কে বলেন নাসা প্রধান বিল নেলসন।
“ভবিষ্যতে চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ বা এর দূরের মিশনগুলোর প্রস্তুতি হিসেবে মহাকাশ স্টেশনে দুইশ’র বেশি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত নমুনা পরীক্ষা করবে নভোচারী দলটি। আর এর সুফল পৃথিবীর মানুষ পাবেন।”
এর আগে নাসা রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছিল শুক্রবার। মিশন ব্যবস্থাপকরা এর পরিবেশগত ও লাইফ সাপোর্ট ব্যবস্থা ঠিকঠাক কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত না করায় উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দেয় সংস্থাটি।
এর আগেও মিশনটি একাধিকবার পিছিয়েছে। এর মধ্যে দুইবার এমনটি ঘটেছে ‘জুপিটার ৩’ নামের আকারে বিশাল স্যাটেলাইট মিশনের কারণে।
“ভবিষ্যতে চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ বা এর দূরের মিশনগুলোর প্রস্তুতি হিসেবে মহাকাশ স্টেশনে দুইশ’র বেশি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত নমুনা পরীক্ষা করবে নভোচারী দলটি। আর এর সুফল পৃথিবীর মানুষ পাবেন।”
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
আরও পড়ুনঃ পৃথিবী বিখ্যাত বাংলাদেশী জি আই পণ্য