আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: ৪৭ বছর পর চাঁদে অভিযান রাশিয়ার । চাঁদে অভিযান চালাতে মহাকাশযান পাঠিয়েছে রাশিয়া। এ অভিযানে চাঁদের পৃষ্ঠে পানির অস্তিত্ব অনুসন্ধান করবেন রুশ বিজ্ঞানীরা। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৪৭ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদে অভিযান শুরু করল দেশটি।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর মহাকাশ গবেষণা নিয়ে দীর্ঘ সময়ের সংগ্রামের ইতিহাস এবং ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের চাপের মুখে থাকা রাশিয়ার এ উদ্যোগ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
মস্কোর স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টা ১০ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশে লুনা-২৫ মহাকাশযান নিয়ে একটি সুয়ুজ-২.১ভি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে রাশিয়া। ভস্তোচনি কসমোদ্রোম উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে এটি পাঠানো হয়। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস এ ঘটনা সরাসরি দেখিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করলো চন্দ্রযান-৩
মহাকাশযানের নাম লুনা-২৫। চাঁদের সাউথ পোলে নামবে এই মহাকাশযান।
রাশিয়ার মহাকাশসংস্থা রসকোমস জানিয়েছে, সয়ুজ রকেটে করে মহাকাশযানকে পাঠানো হয়েছে। চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছাতে পাঁচ দিন লাগবে। তারপর সাত দিন তা চাঁদের কক্ষপথে থাকবে। তারপর নামবে চাঁদে। তিনটি সম্ভাব্য জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটিতে নামবে লুনা-২৫।
চাঁদে বরফের খোঁজ
লুলা-২৫ চাঁদের সাউথ পোলে নেমে বরফের খোঁজ করবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত, জাপান ও ইসরাইলের চন্দ্রাভিযান চাঁদের বরফ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা করেনি।
লুনা-২৫ চাঁদে ১৫ সেন্টিমিটার নিচ থেকে পাথর সংগ্রহ করবে। এই মহাকাশযানে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি আছে, যা দিয়ে তারা সংগৃহীত পাথর ও অন্য জিনিসের বিশ্লেষণ করবে।
লুনা-২৫-এর প্ল্যানিং গ্রুপের প্রধান ম্যাক্সিম লিটভাক বলেছেন, ‘খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে, যেদিকে কেউ নামেনি, সেদিকেই লুনার-২৫ নামবে ও পরীক্ষা চালাবে। যেখানে লুনা-২৫ নামবে, সেখানে বরফের চিহ্ন আছে।’
মহাকাশে রাশিয়া
১৯৫৯ সালে রাশিয়াই প্রথম দেশ, যারা চাঁদে মহাকাশযান পাঠায়। পরে এই প্রতিযোগিতা চাঁদ থেকে সরে মঙ্গল ও অন্য গ্রহের দিকে চলে গেছে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েতের পতনের পর থেকে রাশিয়া এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। এখন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া তাদের মহাকাশ গবেষণা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। তারা পশ্চিমা যন্ত্রপাতি বর্জন করে দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়েই কাজ করছে।
ইগোরভ বলেছেন, ‘বিজ্ঞানীরা চাঁদে বরফ নিয়ে পরীক্ষা ও গবেষণা করবেন। কিন্তু রসকোমসের প্রধান কাজ হলো, চাঁদে মহাকাশযানকে নামানো এবং সোভিয়েত আমলের দক্ষতাকে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া।’
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরও পড়ুনঃ যেভাবে স্মার্টফোন নিরাপদে পরিষ্কার করবেন