আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি, জুনে এইচএসসি পরীক্ষা। আগামী বছরের (২০২৪ সাল) ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে (২০২৩ সালে পুনর্বিন্যাসকৃত) আগামী বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকারের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়াশোনা
পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। আর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩ সালের পূনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে কেন্দ্র পরিদর্শন গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি এপ্রিলে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর বক্তব্যের পর স্বল্প সময়ে সিলেবাস শেষ করানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে বোর্ড সংশ্লিষ্টরাও আলোচনা করেন। পরে এপ্রিলের পরিবর্তে জুনে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলো আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
অধ্যাপক তপন কুমার জানান, আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে পূর্ণ সময় ও নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্ণ সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা পূর্ণ নম্বর ও সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। করোনার কারণে ২০২০ সাল থেকে এসব পাবলিক পরীক্ষায় নানা জটিলতা দেখা দেয়। শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত পাঠদান করতে না পারায় বিষয়-সময়-নম্বর কমিয়ে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ এবং এইচএসসি পরীক্ষা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়।
অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেও এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে আমরা এসব জটিলতা কটিয়ে যথাসময়ে পরীক্ষা আয়োজনের চষ্টো করছি।
আরও পড়ুনঃ অনলাইন খবরের জন্য পয়সা খরচ কারীর সংখ্যা বাড়ছে