আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: হাঁটার অভ্যাস তৈরি করতে যা করবেন । হাঁটা সবচেয়ে সহজ ব্যায়ামগুলোর মধ্যে একটি। সুস্থ থাকতে গেলে প্রতিদিন কোনো না কোনো ব্যায়াম করা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা হৃদরোগ, ডায়বেটিসের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্তদের হাঁটার পরামর্শ দেন। এছাড়াও, যেকোনো বয়সেই ব্যায়াম হিসেবে হাঁটাহাঁটি করা যায়। হাঁটার অভ্যাস তৈরি করার শুরুতে কিছুটা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জেনে নিন প্রতিদিন সফল ভাবে হাঁটতে করণীয়-
স্বাস্থ্য পরীক্ষা: প্রতিদিন কত কদম হাঁটছেন তা গুনে রাখুন। প্রয়োজনে পেডোমিটার বা ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করুন। প্রতিদিন হাঁটার কারণে যখন স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে দেখবেন তখন আরও উৎসাহিত হবেন।
লক্ষ্য নির্ধারণ: নিজের স্বাস্থ্য বুঝে হাঁটার লক্ষ্য তৈরি করুন। নিজের শরীরের উপর বেশি জোর দেবেন না। সময়ের সাথে সাতে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন এবং হাঁটার মাত্রা বাড়ান।
বিশ্রাম: প্রতিদিনের কাজের মাঝেই অল্প অল্প পথ হাঁটুন। হাঁটার জন্য রুটিন না বানিয়ে, কাজ করতে করতেই হাঁটুন। এতে হাঁটার জন্য আলাদা করে সময় বের করতে হবে না। যেমন, কর্মস্থল থেকে বাসার ফেরার সময় হেঁটে যান।
আরো পড়ুন: বর্ষায় আসবাবপত্র ভালো রাখবেন যেভাবে
সিঁড়ি: লিফট বা এলিভেটরের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এতে আপনার কদম নেওয়ার সংখ্যা বাড়বে। তাছাড়া পায়ের অন্যান্য পেশির জন্যও উপকারী প্রভাব বিস্তার করে।
ফোনকল: প্রায় সকলকেই দিনের কিছুটা সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতে হয়। ঘরে, বাইরে অথবা কর্মস্থলে ফোনে কথা বলার সময়টাকে কাজে লাগান। সুযোগ থাকলে কথা বলতে বলতে পায়চারি করুন।
হাঁটার রুটিন: পর্যাপ্ত সময় থাকলে প্রতিদিন হাঁটার পেছনে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ব্যয় করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে খাবারের সময় বা সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস থাকলে সুস্থ থাকা অনেক সহজ।
দলগত হাঁটা: একা হাঁটার বদলে কয়েকজন মিলে একসাথে হাঁটতে বের হতে পারেন। হাঁটার সময় সঙ্গ পেলে গল্প করতে করতে হাঁটা যায়। এতে সময় ভালো কাটে, সামাজিক সম্পর্কও মজবুত হয়।
নতুন রাস্তা: রোজ একই রাস্তা ধরে হাঁটলে, একঘেয়েমি চলে আসে। হাঁটার সময়কে রোমাঞ্চকর করতে একেক দিন একেক পথে হাঁটতে পারেন। এতে দৃশ্যপট পরিবর্তন হওয়ায় মেজাজ ভালো থাকবে আর প্রশান্তি বিরাজ করবে। তাছাড়া বিকল্প অনেক নতুন রাস্তাও চেনা হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আরো পড়ুন: টয়লেটে ফোন ব্যবহার করে স্বাস্থ্যের যে ৬টি ক্ষতি করছেন