আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: সিম কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন । গ্রামীণ, বাংলালিংক, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল সিম কোম্পানি নানান সুবিধা দিয়ে থাকে তার গ্রাহকদের। এজন্য একেকজন গ্রাহকের থাকে একাধিক সিম। একজন ব্যক্তি একাধিক সিম কিনতে পারেন। এজন্য তেমন কোনো ঝামেলা পোহাত হয় না।
জাতীয় পরিচয় পত্র দেখিয়েই একাধিক সিম কিনতে পারবেন। তবে সিম কেনার সময় বেশিরভাগ মানুষ কিছু ভুল করে থাকেন। ফলে পরবর্তীতে নানান ঝামেলায় পড়তে হয়। বিশেষ করে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
নিশ্চয় খেয়াল করেছেন চলতি পথে অনেক লোকেদের দেখা যায় সিম বিক্রি করতে। জাতীয় পরিচয় পত্র, আঙুলের ছাপ, চোখের স্ক্যান করেই কম মূল্যে সিম কেনা যায় সেখান থেকে। তবে এখানেই মারাত্মক ভুলটাই করছি আমরা। এখান থেকে মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্র, আঙুলের ছাপ বিক্রি করা হয় ডার্ক ওয়েবে। যা দিয়ে অপরাধীরা নানান অপরাধ করে যাচ্ছে। কিন্তু অন্য কারও জাতীয় পরিচয় পত্র, আঙুলের ছাপ ব্যবহার করায় তাদের ধরাও সম্ভব হচ্ছে না।
তাই নতুন সিম কেনার সময় কয়েকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন। জেনে নিন সেসব-
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
১। শুধুমাত্র অনুমোদিত দোকান থেকে কিনুন
Jio, Airtel, Vi এবং BSNL এই সমস্ত সংস্থাগুলি আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহককে তাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে চায় এবং এর জন্য এই সংস্থাগুলি আরও বেশি করে স্টোর খোলে। আপনি যদি একটি নতুন সিম কার্ড কিনতে চান, তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যে সেই সিমটি অনুমোদিত ব্যক্তির কাছ থেকে নিন। টেলিকম কোম্পানির স্থায়ী কর্মচারীরা এই ধরনের দোকানে কাজ করে এবং সেখানে যে কোনো ধরনের প্রতারণার সম্ভাবনা খুবই কম।
২। কোন প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম নেবেন না
আপনি সিম কার্ড কেনার জন্য যেই দোকানে যান না কেন, খেয়াল রাখবেন যে আপনাকে একটি সম্পূর্ণ নতুন এবং প্যাকেজড সিম যেন দেওয়া হয়। সিল করা প্যাকেটের সাথে সিম কার্ডে লেখা নম্বরটিও মিলিয়ে নিন। যদি প্যাকেটটি ইতিমধ্যেই খোলা থাকে, তাহলে সিমটি ইতিমধ্যেই প্রি-অ্যাক্টিভেট হয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সিম আগে থেকেই চালু থাকলে, এবং সেই সিম কিনলে কিন্তু আপনারা বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
৩। Tele Verification করুন
একটি নতুন সিম কার্ড পাওয়ার পরে, এটির টেলি ভেরিফিকেশন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডকুমেন্ট এর ভিত্তিতেই কিন্তু সিমকার্ড সক্রিয় থাকে এবং এর জন্য টেলি-ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার ডকুমেন্ট এবং আপনার পরিচয় মেলানো প্রয়োজন। টেলিভেরিফিকেশনের পরে, এটিও স্পষ্ট হবে যে সিমটি ইতিমধ্যে সক্রিয় নয় এবং শুধুমাত্র আপনার আইডিতে ইস্যু করা হয়েছে। মনে রাখবেন যদি কোনো দোকানদার, কোনো কারণে বলে যে টেলি-ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে না,তাহলে ধরে নেবেন কোন গন্ডগোল আছে।
৪। ডকুমেন্টে বিস্তারিত লিখুন
কেউ আপনাকে অবুঝ বলুক বা যাই বলুক, যখন আপনি একটি সিম কেনার জন্য আপনার ডকুমেন্ট জমা দেবেন তখন আপনার নাম, তারিখ এবং ইস্যুকৃত সিম কার্ডের সাথে সম্পর্কিত যেকোন বিশদ বিবরণ লেখাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটি প্রয়োজনীয় কারণ প্রতারকরা আপনার নথিতে একটি দ্বিতীয় সিম ইস্যু করতে পারে। অন্যান্য সিম আপনার আইডিতে চলতে থাকবে এবং আপনি তা লক্ষ্যও করবেন না। ফলে আপনার সমস্যা হতে পারে, তাই আপনার ডকুমেন্ট যতটা সম্ভব বিবেচনা করেই দেওয়া উচিত।
৫। থাম্ব ইমপ্রেশনে গন্ডগোল
প্রতারকরা সাধারণ মানুষকে ঠকাতে নিত্যনতুন পন্থা উদ্ভাবন করছে। বুড়ো আঙুলের ছাপও এই পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপনি যখন একটি নতুন সিম কিনতে যাবেন এবং দোকানদার আপনার আঙুলের ছাপ বা আঙুলের ছাপ চাইবেন, তখন মনে রাখতে হবে যে সেই ছাপ একবারই দেওয়া হয়েছে। একটি আইডির জন্য একটি বুড়ো আঙুলের ছাপই যথেষ্ট। যদি বারবার আঙুলের ছাপ নেওয়ার কথা বলকনহয়, তাহলে স্পষ্টত বিরোধিতা করুন, অথবা দোকানদারকে তার মেশিনটি পুনরায় চালু করতে বলুন। নইলে আপনার বুড়ো আঙুলের ছাপে অন্য কাউকে সিম দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোরআনের সুপারিশে মুক্তি পাবেন যারা