আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: সামাজিক চ্যাটবট মানুষের একাকীত্ব ও উদ্বেগ কমাতে পারে । সামাজিক বিভিন্ন চ্যাটবট মানুষের একাকীত্ব ও উদ্বেগ আসলেই কমিয়ে আনতে পারে বলে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, মানসিক স্বাস্থ্যের সহায়তায় ভূমিকা রাখতে পারে এসব চ্যাটবট। সামাজিক বিভিন্ন চ্যাটবটের সঙ্গে মানুষের আলাপচারিতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এগুলোর ডিজাইনে নির্মাতারা ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন এআইনির্ভর প্রোগ্রাম, যা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের একাকীত্ব ও উদ্বেগ কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
এ গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউএনআইএসটি-এর ‘গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র অধ্যাপক ডুইয়ং জং ও তার গবেষণা দল, এতে সহযোগিতা করেছেন ‘কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আনাম হসপিটল’-এর মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক চুল হিউন চো।
তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আলাপচারিতার মাধ্যমে এসব চ্যাটবট একাকীত্ব বা সামাজিক উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করছেন এমন শিক্ষার্থীদের মানসিক সহায়তা দিতে পারে কি না তা দেখা।
আরও পড়ুনঃ এআই ব্যবহারের সাতটি অস্বাভাবিক ঘটনা
এজন্য ‘ইরুদা ২.০’ নামের এক জনপ্রিয় চ্যাটবটের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষকরা। গবেষণায় ইউনিভার্সিটির ১৭৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এক মাস ধরে সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার চ্যাটবটটির সঙ্গে আলাপ করেন তারা।
এ সময়ের আগে ও পরে নিজেদের একাকীত্ব ও সামাজিক উদ্বেগের মাত্রা পরিমাপ করে জরিপের উত্তর দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিছু অংশগ্রহণকারী তাদের অভিজ্ঞতা আরও বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য সাক্ষাৎকারেও অংশ নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ।
গবেষণায় দেখা গেছে, চ্যাটবটের সঙ্গে নিয়মিত আলাপচারিতা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চ্যাটবট ব্যবহারের পর গড়ে তাদের একাকীত্বের মাত্রা কমেছে ১৫ শতাংশ ও সামাজিক উদ্বেগের মাত্রা কমেছে ১৮ শতাংশ।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, আলাপচারিতার সময় এসব চ্যাটবটের সঙ্গে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কার্যকর।
গবেষকরা বলছেন, চ্যাটবটটি এমন মানুষদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক, যারা সামনাসামনি সামাজিক মেলামেশায় চ্যালেঞ্জ বোধ করেন।
আরও পড়ুনঃ
❒ এআইকে গ্রহণ করার চেষ্টা করছে ইউরোপ
❒ ডিপসিক নিয়ে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলো যা ভাবছে
❒ এআইকে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করলেই বিপদে পড়তে পারেন
❒ ২০২৫ সালে প্রযুক্তি–দুনিয়ায় এআই কতটা প্রভাব ফেলবে
এ গবেষণার প্রধান লেখক ও ইউএনআইএসটি-এর পিএইচডি শিক্ষার্থী মিয়ুংসুং কিম জোর দিয়ে বলেছেন, কেবল সাধারণ বা সহজ প্রশ্নের উত্তরই দেয় না এসব চ্যাটবট, বরং সত্যিকারের মানসিক সমর্থনেও ভূমিকা রাখতে পারে এটি, এরই ইঙ্গিত মিলেছে গবেষণায়।
বর্তমানে চ্যাটবট প্রযুক্তি উন্নত করার পরিকল্পনা করছে গবেষণা দলটি। যাতে এর মাধ্যমে আরও ভালোভাবে মানসিক সহায়তা দিতে পারেন তারা। এসব চ্যাটবটের সম্ভাব্য খারাপ দিক নিয়েও গবেষণা করবে গবেষণা দলটি।
❑ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ গুগলের জেমিনাই ১০ বছরের রহস্য ২ দিনে সমাধান করল