আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ: সাইয়্যেদুল ইস্তেগফারের ফজিলত ও অর্থ । ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার জন্য কুরআন মাজিদে ও হাদিস শরিফে বহু দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দোয়াটিকে সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার অর্থাৎ প্রধান তথা সেরা বা শ্রেষ্ঠ ক্ষমার আবেদন বলা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কেউ সকাল-সন্ধ্যায় বিশ্বাসের সঙ্গে সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার পাঠ করে, সে যদি ওই দিন রাত্রে বা দিবসে ইন্তেকাল করে, তাহলে সে জান্নাতি হবে।’
বান্দা যখন আল্লাহর দ্বারস্থ হয়, তখন তিনি ক্ষমা ও দয়ার কুদরতি হাত দুটো প্রসারিত করেন। বান্দা ইস্তিগফার করলে আল্লাহ আজাব দেন না।
পবিত্র কুরআনের বর্ণনা, ‘আপনি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না এবং তারা ক্ষমা প্রার্থনা করলে তখনো আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না।’ (সূরা-৮ আনফাল, আয়াত : ৩৩)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ দোয়া (সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার) পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতি হবে’।
ছাইয়্যেদুল ইস্তেগফার হলো
اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ-
আরও পড়ুনঃ
❒ রিজিক বৃদ্ধি ও সচ্ছলতা লাভের ১০ আমল
❒ যে আমল করলে জান্নাতে ‘বায়তুল হামদ’ নামে বিশেষ ঘর নির্মিত হয়
❒ নবীজি প্রথম উপার্জন যে ভাবে ব্যয় করতে বলেছেন
❒ রাসুল (স.) ১২ শ্রেণীর মানুষকে ‘আমার উম্মত নয়’ বলেছেন
❒ সন্ধ্যার দোয়া-জিকির আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন
❒ ইবাদত কবুলের জন্য অন্তত ৩ শর্ত মানতে হবে
বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা; খলাকতানি ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতা তায়াতু, আউজু বিকা মিন শাররি মা ছনাতু, আবুউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া, ওয়া আবুউ লাকা বিজাম্বি; ফাগফির লি, ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ-জুনুবা ইল্লা আন্তা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই; আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনারই বান্দা বা গোলাম, আর আমি আছি আপনার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের ওপর আমার সাধ্যমতো; আমি আপনার কাছে পানাহ ও আশ্রয় চাই আমার অনাসৃষ্টির অকল্যাণ এবং অপকার ও ক্ষতি হতে। আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি আপনার সকল নেয়ামতরাজি এবং আরও স্বীকার করছি আপনার সমীপে আমার সকল অপরাধ; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন, যেহেতু আপনি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নেই।’ (বুখারি : ৬৩২৩ ও মুসলিম)।
❑ ইসলামী জীবন থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়ার ফজিলত