আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: শুকিয়ে যাচ্ছে বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন হ্রদ ‘টিটিকাকা’ । অভূতপূর্ব শীতকালীন তাপপ্রবাহে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ হ্রদ টিটিকাকার জলের স্তর। জলের স্তরের এমন আকস্মিক পতন প্রভাবিত করছে পর্যটন, মাছ ধরা এবং কৃষিকে। ব্যাহত করছে হ্রদের ধারে ও তিতিকাকার ভাসমান দ্বীপগুলোতে বসবাস করা স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা।
জলবায়ু বিজ্ঞানীরা জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের শুষ্ক অঞ্চলগুলো আরো শুষ্ক হয়ে উঠবে এবং আর্দ্র অঞ্চলগুলো আর্দ্র হয়ে উঠবে। তবে গবেষণায় আর্দ্র অঞ্চলেও পানি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যেতে দেখা গেছে।
টিটিকাকা পূর্ব-মধ্য দক্ষিণ আমেরিকার একটি হ্রদ। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ নৌচলাচলযোগ্য হ্রদ। সমুদ্রসমতল থেকে এর উচ্চতা তিন হাজার ৮১০ মিটার। আট হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এই হ্রদটি দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ, মতান্তরে দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ। (মারাকাইবো হ্রদের বিস্তৃতি যদিও এর চেয়েও বেশি, সমুদ্রের সাথে সংযোগ থাকার কারণে অনেক বিশেষজ্ঞই তাকে পুরোপুরি হ্রদ বলে গণ্য করেন না।) হ্রদটি দক্ষিণ-পূর্ব পেরু থেকে পশ্চিম বলিভিয়ায় বিস্তৃত।
আন্দিজ পর্বতমালার আলতিপ্লানো উচ্চভূমিতে অবস্থিত এই হ্রদটির পশ্চিমের চার হাজার ৯১৬ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল পেরুর মধ্যে পড়ে ও পূর্বদিকের তিন হাজার ৩৭২ বর্গকিলোমিটার পড়ে বলিভিয়ায়। এর সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ১৯৬ কিলোমিটার ও গড় প্রস্থ ৫৬ কিলোমিটার। আয়তনে এটি জার্মানির বিখ্যাত হ্রদ বোডেনজের তুলনায় ১৫.৫ গুণ বড় ও ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ কর্সিকার প্রায় সমান। আয়তনের বিচারে এ হ্রদ পৃথিবীর ১৯তম বৃহত্তম হ্রদ।
ছোট বড় মিলিয়ে ২৫টিরও বেশি নদী এসে এই হ্রদে পড়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বেশ বড়। বয়ে নিয়ে আসা জলের পরিমাণ বিচার করে পরপর সাজালে এরা হল হামিস, কোয়াতা, লিয়াভে, উয়ানকানে ও সুচেজ। অথচ এই হ্রদ থেকে উৎপন্ন নদী হল মাত্র একটি – রিও দেসাখুয়াদেহো। বলিভিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই নদীটি হ্রদে এসে পড়া জলের মাত্র দশ শতাংশ বহন করে নিয়ে যায়। কিন্তু তীব্র হাওয়া ও বিষুব সূর্যের খর রোদের কারণে বাকি ৯০ শতাংশ জল বাষ্পীভূত হওয়ায় হ্রদে জলের মোট পরিমাণ মোটামুটি একই থেকে যায়।
এই হ্রদের অভ্যন্তরে ছোট বড় মোট ৪১টি দ্বীপ রয়েছে। এগুলির অনেকগুলিই ঘনবসতিপূর্ণ। এগুলির অনেকগুলিতেই আবার ইনকা যুগের নানা নিদর্শনও রক্ষিত আছে। বিশেষ করে ইসলা দেল সোল (সূর্যদ্বীপ)। এছাড়াও বেশ কটি উপদ্বীপও অন্যতম। এদের মধ্যে কোপাকাবানা উপদ্বীপটি সবচেয়ে বড়। এই উপদ্বীপটিই হ্রদটিকে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ভাগ করে ফেলার জন্য দায়ী। এই উপদ্বীপের প্রায় সমগ্রটাই বর্তমানে বলিভিয়ার মধ্যে পড়ে।
সারা বছরে টিটিকাকায় ৬১০ মিলিমিটার মতো বৃষ্টি হয়। এর বেশিরভাগটাই সাধারণত গরমকালেই হয়ে থাকে। শীতকালে আবহাওয়া ঠাণ্ডা ও শুষ্ক। টিটিকাকা হ্রদ ৫৩০টিরও বেশি জলজ প্রজাতির আবাসস্থল। এদের মধ্যে আবার অনেকগুলিই বিরল ও স্থানিক প্রজাতি। এছাড়াও এই হ্রদ ও সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর সংখ্যক জলচর পাখিও বাস করে। হ্রদের এই একান্ত নিজস্ব জৈব পরিবেশ রক্ষার্থে গত ১৯৯৮ সালের ২৬ আগস্ট এই হ্রদ অঞ্চলকে একটি রামসার এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সুউচ্চ টিটিকাকাকে ‘অভ্যন্তরীণ সমুদ্র’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি আয়মারা, কেচুয়া এবং উরো আদিবাসী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অধিক উচ্চতা হ্রদটিকে উচ্চমাত্রার সৌর বিকিরণের জন্যও উন্মুক্ত করে, যা বাষ্পীভবন বাড়ায়, দ্রুত কমে যায় জল।
হ্রদটির আশেপাশের এলাকায় প্রাচীন আদিবাসী আমেরিকানদের সভ্যতা ছিল। এগুলিতে ইনকা পর্বের অনেক স্থাপত্যের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। কিংবদন্তি আর রহস্যে ভরপুর তিতিকাকা। ইনকা মিথোলজি অনুসারে প্রথম ইনকা রাজা ম্যানকো কাপাকের জন্মস্থান এটি। ইনকাদের অন্য একটি মিথে বলা হয়, ‘সৃষ্টিকর্তা দেবতা’ সূর্য, চাঁদ এবং তারা সৃষ্টির আগে এই লেক থেকে উঠেছিলেন। আটলান্টিস কিংবদন্তিতেও এই লেকের নাম রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই হ্রদের জলের নিচে হারিয়ে যাওয়া এক শহর রয়েছে। গবেষকরা তিতিকাকার নীল জলের নিচে প্রাচীন এক মন্দিরের সন্ধানও পেয়েছেন। তাই হতেও পারে জলের নিচে সত্যি সত্যি প্রাচীন কোনো শহর ডুবে আছে।
আরও পড়ুনঃ জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা বিশ্বে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড
দর্শনার্থীরা দীর্ঘকাল ধরেইটিটিকাকার নীল জল, আদিগন্ত খোলা আকাশ আর রহস্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। যদিও অতিরিক্ত পর্যটকের চাপে বর্তমানে হ্রদটি প্রবলভাবে দূষিত। বিশেষজ্ঞদের মতে তিতিকাকার জৈববৈচিত্র জলদূষণ ও মানুষের আমদানি করা বিভিন্ন নতুন প্রজাতির উপদ্রবে বিশেষভাবে বিপন্ন। এ কারণে ২০১২ সালেই গ্লোবাল নেচার ফান্ড হ্রদটিকে সে বছরের বিপন্নতম হ্রদ বলে অভিহিত করে।
হ্রদটির তীরে ৩০ লাখ মানুষের বাস। এই হ্রদ ঘিরেই তাদের জীবন-জীবিকা। টিটিকাকার এক ভাসমান দ্বীপে বাস করা ও জলের চারপাশে পর্যটকদের কাছে ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করা ৬৩ বছর বয়সী নাজারিও চারকা হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা এখন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কী করব, তা আমরা জানিনা। কারণ জল কমতে থাকবে।’
হ্রদের চারপাশে বাস করা স্থানীয়রা টিটিকাকার জলের উপর নির্ভর করে মাছচাষ ও খামার করে। তিতিকাকার নীল জলের জাদু পর্যটকদের আকর্ষণ করে যা প্রান্তিক অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। এখন সেই জাদু কিছুটা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
যদিও জলের স্তর প্রতি বছর ওঠানামা করে বলে জানা যায়। তবে জলবায়ু সংকটের কারণে এ পরিবর্তনগুলি আরও চরম আকার ধারণ করেছে। সিএনএন’র আবহাওয়াবিদ টেলর ওয়ার্ডের মতে, একটি রেকর্ড ব্রেকিং শীতকালীন তাপপ্রবাহ বাষ্পীভবন বৃদ্ধি এবং হ্রদের জলের স্তর হ্রাসের গতি তরান্বিত করেছে, খরার কারণে পানির ঘাটতি আরও বেশি হচ্ছে।
পেরুর ন্যাশনাল মেটিওরোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজি সার্ভিসের (সেনামহি) পরিচালক সিক্সটো ফ্লোরেস সিএনএনকে বলেন, গত বছরের আগস্ট থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত স্বাভাবিক গড় থেকেও ৪৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়কাল সাধারণত এ অঞ্চলের বর্ষাকাল, যে সময়ে সাধারণত হ্রদের জলের স্তর পুনরুদ্ধার হয়।
ফ্লোরেস সিএনএনকে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জলের স্তর ১৯৯৬ সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে যাবে যদি পরবর্তী কয়েক মাসে সাধারণ হারেও জল বাষ্পীভূত হয়। এ অবস্থাকে তিনি ‘খুব গুরুতর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হ্রদে জলের স্তরের ক্রমহ্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ১৯৯২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইট চিত্রের ওপর ভিত্তি করে একটি সাম্প্রতিক গবেষণা দেখায় যে তিতিকাকা হ্রদ প্রতি বছর প্রায় ১২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন জল হারাচ্ছে, যা প্রাথমিকভাবে বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন হওয়ার কারণে ঘটছে।
টিটিকাকার জলের মাছধরার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা সম্প্রদায়গুলির জীবনযাত্রার লড়াই আরও কঠোর হচ্ছে কারণ জলের স্তরের হ্রাস মাছের বৃদ্ধিতে সমস্যা তৈরি করছে, দূষণ বাড়াচ্ছে এবং অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে মাছের মজুদ হ্রাস পাচ্ছে।
এ অঞ্চলের কৃষিও খরার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ফসল কাটার মৌসুমে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কুইনো এবং আলু ফসলের অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উভয়ই স্থানীয় প্রধান খাদ্য। এছাড়াও ওটের মতো পশুখাদ্যের উৎপাদনও ব্যাহত হয়েছে।
জল কমার সাথে সাথে লেকের চারপাশে দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত নৌকাগুলি আটকে পড়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন অর্থনীতিতেও । টাকিলে দ্বীপে বসবাসকারী ও দর্শনার্থীদের কাছে স্থানীয়ভাবে তৈরি কাপড় বিক্রি করা জুলিয়ান হুয়াত্তামারকা (৩৬) বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত কারণ এই মুহূর্তে জলের স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে।’ কাতর কণ্ঠে তিনি বলছিলেন, ‘আমরা চাই পর্যটকরা ফিরে আসুক, বিশেষ করে বিদেশী পর্যটকরা।’
পুনো অঞ্চল, যেটি তিতিকাকা হ্রদের পেরু অংশের সমগ্র অংশকে আবৃত করে, দীর্ঘদিন ধরেই একটি অনুন্নত এবং প্রান্তিক অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। অতি সম্প্রতি কোভিড-১৯ মহামারি এবং সামাজিক অস্থিরতার প্রভাবে এখানকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুনো রাষ্ট্রপতি দিনা বোলুয়ার্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। কয়েক দশকের বৈষম্য, দুর্নীতির অভিযোগ এবং জীবনযাত্রার স্থবিরতার কারণে গড়ে ওঠা ক্ষোভের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল ওই বিক্ষোভ।
হুয়াত্তামার্কা সিএনএনকে বলেন, বিক্ষোভের সময় পর্যটকরা এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেননি। ‘’তারা যেতে কিছুটা ভয় পেয়েছিল’ বলেন তিনি। তিনি জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিশেষত মহামারী চলাকালীন অনেক লোক এলাকা ছেড়েছে। তিনি বলেন, বাধ্য হয়েই তাদের এটা করতে হয়েছিল। খাদ্যের মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।
এবং সাম্প্রতিক অবস্থায় চলমান খরা আরও বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে পারে। কারণ ১৯৯১ সালে খরার কারণে দেশান্তরের তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল। সেসময় খাদ্যের অভাবে জীবিকা নির্বাহের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল।
চার্কা উরো আদিবাসী গোষ্ঠীর একজন, যারা হ্রদে ভেসে থাকা শুকনো টটোরা নল দিয়ে তৈরি দ্বীপে বাস করে। কয়েক শতাব্দী ধরে উরোরা নলগুলিকে দ্বীপে পরিণত করেছে, সেইসাথে সেগুলিকে ভবন এবং নৌকা তৈরিতেও ব্যবহার করে।
উদ্বিগ্ন চার্কা জানান, জলের স্তর কম হওয়ার অর্থ হল কম নল উৎপন্ন হবে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের প্রভাবিত করতে চলেছে, টটোরা থাকবে না, দ্বীপগুলির অবনতি হচ্ছে।’
টটোরা হচ্ছে লম্বাটে দ্রুত বর্ধনশীল স্থানীয় নলখাগড়া। এই নলখাগড়া খুবই হালকা, কিন্তু একসাথে জড়ো করলে এগুলো বেশ শক্ত। হালকা হওয়ার কারণে এগুলো ভেসে থাকে। আর শক্ত হওয়ার কারণে অনেক ভারী জিনিসও এই নলখাগড়া ভাসিয়ে রাখতে পারে। নলখাগড়ার এই গুণটিকেই কাজে লাগিয়ে উরোদের ভাসমান দ্বীপ বানানো হয়। নলখাগড়া পচনশীল হওয়ার কারণে নতুন করে আরও বেশি নলখাগড়া গাদা করে দ্বীপ টিকিয়ে রাখা হয়।
টটোরার উৎপাদন ব্যাহত হলে উরো আদিবাসী গোষ্ঠীর ভাসমান দ্বীপগুলি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি এর ফলে তাদের বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকিও রয়েছে।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আশা দেখা কঠিন। এল নিনো চলছে, গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ-স্বাভাবিক তাপমাত্রা দ্বারা চিহ্নিত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা এটি যা দক্ষিণ আমেরিকার আবহাওয়াকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করতে পারে।
সেনামহির সাথে জলবায়ুবিদ্যার উপ-পরিচালক গ্রিনিয়া আভালোস সিএনএনকে বলেন, চলমান উষ্ণ তাপমাত্রা কমপক্ষে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। এই অবস্থা এ অঞ্চলে নিম্ন বৃষ্টিপাতে অবদান রাখবে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক কনর বেকারের বলেন, হ্রদের ওপর নির্ভরশীলদের রক্ষা করার জন্য বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের প্রয়োজন। যদিও হ্রদের জলের স্তরের ওঠানামা জলবায়ু পরিবর্তনশীলতা এবং প্রাকৃতিক চক্রের সাথে যুক্ত, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব টেকসই ব্যবস্থাপনা কৌশলগুলির প্রয়োজনকে বাড়িয়ে তোলে।
সূত্র: জ্যাক গাই ও ক্লদিয়া রেবাজা, সিএনএন, ৭১ টিভি।
আরও পড়ুনঃ মানচিত্রে নেই, জনশ্রুতিতে জীবন্ত যে ‘ভূতুড়ে গ্রাম’