আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: শীতকালে শিশুর যত্নে করনীয় । শীতে সাধারণত শরীর ঘামে না। তাই অনেকে মনে করেন, নিয়মিত কাপড় না ধুলেও চলে। বিশেষ করে গরম কাপড়গুলো মোটা বা উলের হওয়ায় বাবা-মা এসব ধুতে অলসতা করেন। শিশুকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই সময়মতো কাপড়চোপড় ধুয়ে পরাতে হবে।
আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। এ সময় শিশুদের নানা রকম রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শীতকালে এটি বেশি ঘটে। তাই শীতের শুরুতেই শিশুদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। শীতকালে শিশুর যত্ন নেয়ার কিছু সাধারণ কৌশলের কথা জেনে নেয়া যাক-
হাত ধোয়া
শীতকালে বেশির ভাগ বাবা-মা শিশুকে পানি ধরতে দিতে চান না। ভাবেন এতে হয়তো ঠান্ডা লেগে যাবে। এই ধারণাটি ঠিক নয়। শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে অন্যান্য সময়ের মতোই নিয়মিত হাত ধোয়ানো জরুরি। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় এটি অত্যাবশ্যক। কারণ শিশুরা সারা দিন নানা রোগ-জীবাণুবাহী বস্তু হাত দিয়ে ধরে, যা তাদের অসুস্থতার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুনঃ ছয় মাস বয়সী শিশুর খাবার যেমন হবে
গরম কাপড়ের পরিচ্ছন্নতা
শীতে সাধারণত শরীর ঘামে না। তাই অনেকে মনে করেন নিয়মিত কাপড় না ধুলেও চলে। বিশেষ করে গরম কাপড়গুলো মোটা বা উলের হওয়ায় বাবা-মা এসব ধুতে অলসতা করেন। শিশুকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই সময়মতো কাপড়চোপড় ধুয়ে পরাতে হবে।
নিয়মিত গোসল
অনেক বাবা-মা মনে করেন, শীতকালে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানো ক্ষতিকর! কিন্তু এটি ভুল ধারণা। গোসল না করার ফলে শিশুর শরীর আর চুলে ধুলা লেগে যায়, এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর। ঠান্ডা পানি না হলেও কুসুম গরম পানিতে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানো উচিত। গোসলের ক্ষেত্রে বেবি সোপ ব্যবহার করা উপকারী। এতে শিশুর স্বাস্থ্যের ভাবনা যেমন দূর হবে পাশাপাশি শিশুও থাকবে চনমনে।
পানি পান
শীতকালে পানির পিপাসা কম লাগে। তাই শিশুদেরও পানি পানে বেশ অবহেলা দেখা যায়। মনে রাখতে হবে, এ সময়েও শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন আছে। তাই সময়মতো শিশুকে পানি পান করাতে হবে।
ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম ছোট-বড় সবার জন্যই অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের সুস্থতায় ঠিকমতো ঘুমের বিকল্প নেই। খেয়াল রাখতে হবে শিশুরা নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমাচ্ছে কি না। কারণ ভালো ঘুম শরীরে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমায়।
খাবার ও পানীয়
শীতকালে শিশুদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যথাসম্ভব ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন। যদি খাবার ফ্রিজে থাকে তাহলে অবশ্যই পরিবেশনের আগে গরম করে নিন। তবে ফ্রিজের খাবার খাওয়ানোর চেয়ে সব সময় টাটকা খাবার খাওয়াতেই চেষ্টা করা উচিত। এ ছাড়া দিনে অন্তত একবার গরম দুধ, স্যুপ বা হেলদি ড্রিংক খাওয়াতে পারলে শিশুর জন্য ভালো।
ঘরের আবহাওয়া
শীতে ঠান্ডায় ভয়ে অনেকেই ঘরের দরজা-জানালা খুলতে চান না। মনে রাখতে হবে, বদ্ধ ঘরে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে না বলে জীবাণু সংক্রমণ বেড়ে যায়। ঘর স্বাস্থ্যসম্মত রাখার অন্যতম শর্ত হলো- ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখা। দিনের বেলায় অন্তত কিছু সময়ের জন্য ঘরের সব দরজা-জানালা খুলে রাখা উচিত।
খেলাধুলা
অসুস্থতার দোহাই দিয়ে অনেকেই শিশুদের খেলতে দিতে চান না। এটা মোটেই উচিত নয়। শীতের সময় খেলাধুলা কমিয়ে দিলে বা একদমই না করলে শরীরের ভেতর যে কোষগুলো রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সেগুলো দুর্বল হতে থাকে। তাই এ সময় পর্যাপ্ত খেলাধুলা করা জরুরি।
আরও পড়ুনঃ শিশুর ঠোঁটে চুমু দিলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি