আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: যেসব কারণে বন্ধ হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট । হোয়াটসঅ্যাপে সারাক্ষণ চ্যাট করছেন প্রিয়জন, বন্ধু কিংবা অফিসের কাজে। তবে এসময় আপনার ছোট্ট একটি ভুলেই হারাতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটিকে। যে কোনো মুহূর্তে ব্যান করে দেওয়া হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে জানানো হচ্ছে, অ্যাপ ব্যবহারের নির্দেশনা। অ্যাপে কী করা উচিত নয় তা সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছে প্ল্যাটফর্মটি। যদি কেউ এই নির্দেশ না মানেন, তবে তার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেওয়া হবে।
বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতি মুহূর্তে কয়েককোটি মানুষ ব্যবহার করছেন হোয়াটসঅ্যাপ। সব বয়সী ব্যবহারকারী আছে প্ল্যাটফর্মটিতে। ব্যক্তিগত, অফিসিয়াল, গ্রুপ চ্যাট, অডিও-ভিডিও কলে সারাক্ষণ যুক্ত থাকছেন হোয়াটসঅ্যাপে। ছবি পাঠানো বা ছোট বড় ফাইল পাঠাতে নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ।
জেনে রাখুন কী কী কারণে আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্যান হয়ে যেতে পারে-
১. অফিসিয়াল বা অরিজিনাল অ্যাপ ব্যবহার না করলে
Google Play Store এ দেখবেন হেয়াটসঅ্যাপের মত কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপ আছে। এই এপগুলো হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে অ্যাপ তৈরি করে থাকে। এসব থার্ড পার্টি Messaging App ব্যবহার করলেও আপনার একাউন্ট বন্ধ হতে পারে।
WhatsApp সবসময় তাদের অফিসিয়াল অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য বলে থাকে। থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলে এটি হোয়াটসঅ্যাপ Detect করতে পারে।
এ ধরণের থার্ড পার্টি WhatsApp থেকে Login করলে, প্রথমে হোয়াটস্যাপ আপনাকে Warning দিবে। পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট ব্যান করেও দিতে পারে।
২. সন্দেহজনক এক্টিভিটি
হোয়াটসঅ্যাপ এর Algorithm স্বয়ংক্রীয়ভাবে প্রতিটি একাউন্টের এক্টিভিটি পর্যবেক্ষণ করে থাকে। কোন একাউন্ট থেকে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক কার্যক্রম দেখা গেলে সেই একাউন্টটি ব্যান করতে পারে।
তাই অস্বাভাবিকভাবে মেসেজ পাঠানো, কল করা এসব ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখলেই হবে।
আরও পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপে সিকিউরিটি ফিচারে যুক্ত হচ্ছে ই-মেইল আইডি
৩. কন্টাক্ট ছাড়া অন্য কোন নম্বরে অতিরিক্ত মেসেজিং
আপনার কন্টাক্ট লিস্টে নেই এমন ব্যক্তির সাথেও WhatsApp থেকে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু এধরণের যোগাযোগ অতিরিক্ত করা একটি সন্দেহজনক কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে। তাই যাদের সাথে আপনার নিয়মিত এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হবে তাদেরকে আপনার কন্টাক্ট লিস্টে যুক্ত করে নিন।
তবে যাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই তাদেরকে কন্টাক্টে যুক্ত না করলে খুব একটা অসুবিধা হবে না।
৪. অতিরিক্ত গ্রুপ তৈরী করা
WhatsApp Group অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফিচার। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবসা-বানিজ্য, সামাজিক ও সাংগঠনিক যোগাযোগ ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যও গ্রুপ তৈরি করা খুব প্রয়োজন হয়।
তাই বলে অল্প সময়ের ব্যবধানে খুব বেশি পরিমাণ গ্রুপ তৈরি করাও একটি অস্বাভাবিক কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে যায়। এমন করলেও আপনার হোয়াটস্যাপ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই বিনা প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. ব্রডকাস্ট লিস্ট এর অপব্যবহার
কোনো উৎসব বা ইভেন্ট সম্পর্কে সবাইকে জানাতে, কিংবা কোনো খুশির দিনে সবাইকে উইশ করতে ব্রডকাস্ট লিস্ট ফিচারটি ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু এই ফিচারের মাধ্যমে অতিরিক্ত মেসেজ পাঠানোকে এর অপব্যবহার হিসেবে দেখছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাই ব্রডকাস্ট লিস্ট ফিচার ব্যবহার করে বারবার মেসেজ পাঠানো হলে কোন নোটিশ ছাড়াই আপনার একাউন্ট ব্যান হতে পারে।
৬. বারবার একই টেক্সট সেন্ড করা
বিভিন্ন জনের কাছে খুব কম সময়ের মধ্যে একই লেখা কপি করে পাঠানো যাবে না। অনেক সময় কোন শুভেচ্ছা জানাতে বা নিউজ জানাতে কপি করা একটি লেখা আমরা সবার ইনবক্সে পাঠানোর অভ্যাস আছে।
এধরণের মেসেজকে Automatic Bot Activities মনে করে আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে। তাই কপি পেস্ট করে মেসেজ পাঠানো থেকে বিরত থাকুন।
আর খুব প্রয়োজনে পাঠাতে হলেও, একসাথে খুব বেশি মানুষের কাছে পাঠাবেন না।
৭. ব্লকড হওয়া
অন্যান্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা যদি আপনাকে ব্যাপকভাবে ব্লক করে সেক্ষেত্রেও WhatsApp আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে যদিও আপনার কিছু করার থাকবে না, তারপরও এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন যে অন্যরা আপনাকে ব্লক করে।
৮. থার্ডপার্টি অ্যাপ থেকে অটো মেসেজ পাঠানো
সম্প্রতি “Automatic Message” ফিচারের কারণে অনেকের হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মূলত অটোমেটিক মেসেজ/রিপ্লাই পাঠানো যায়, এ ধরণের অনেক থার্ড-পার্টি অ্যাপ আছে।
এ ধরণের অ্যাপ থেকে Auto Reply মেসেজ সেন্ড করা থেকে বিরত থাকুন। যদি অটো রিপ্লাই সেট করতে হয়, হোয়াটসঅ্যাপ অফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করে অটো রিপ্লাই পাঠাতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নেই।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
আরও পড়ুনঃ আইফোন ১৫-এর নতুন ১০ ফিচার