আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনে সোনা থাকে । আপনি জানলে অবাক হবেন প্রতিটি মোবাইল ফোনেই সোনা থাকে। একটি স্মার্টফোনে গড়ে ৬০টি ধাতু ও উপধাতু ব্যবহার করা হয়। সোনা, রূপা, প্লাটিনাম এবং প্যালাডিয়ামের মতো মূল্যবান ধাতু তুলনামূলক কম ব্যবহার করা হয় স্মার্টফোনে। একটি স্মার্টফোনে সাধারণত ০.০৩ গ্রাম স্বর্ণ থাকে। এই মূল্যবান ধাতু ছাড়াও থাকে তামা ও রূপাও। বিদ্যুতের সুপরিবাহী সোনা, যে কারণে এর ক্ষয় হয় না বা মরচে ধরে না। মোবাইল ফোনের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) বোর্ডের ছোট্ট কানেক্টর গুলো ব্যবহৃত হয়। যদিও সোনার পরিমাণ খুবই সামান্য। তবে অনেক বাতিল ফোন থেকে একটু একটু করে সোনা সংগ্রহ করা হয় এবং তা দিয়ে চলে কোটি কোটি টাকার কারবার।
সাধারণ মোবাইল থেকে স্মার্টফোন বা আইফোন সব ক্ষেত্রেই সোনার ব্যবহার হয়। তার পরিমাণ আলাদা আলাদা।
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে এক একটি ফোনে ৩৪ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সোনা থাকে, যা একটি ফোনের পরিমাণ হিসেবে খুবই সামান্য। তবে বর্তমানে পুরনো মোবাইল ফোনের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে সংগৃহীত সোনার পরিমাণ অনেক।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টাই এই রাউটার চালু রাখা কি ঠিক?
মোবাইলের আবর্জনা থেকে সোনার মত দামি ধাতু বের করার ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। প্রায় একটা আবর্জনা থেকে বেরিয়ে আসে এক গ্রাম সোনা। হিসেব করে দেখা গেছে, গড়ে ৪১টি মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া যায় এক গ্রাম সোনা। ভারতীয় মুদ্রায় যার গড়মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। সেই হিসেবে দেখলে বিশ্বে প্রতিবছর বাতিল হওয়া মোবাইল ফোন থেকে চার হাজার কোটি টাকার সোনা পাওয়া যায়।
মোবাইল ফোনে সোনা ব্যবহার করার প্রধান কারণ হলো এটি ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী ধাতু। সোনা ছাড়াও তামা ও রুপা ব্যবহৃত হয় যা বিদ্যুতের সুপরিবাহী। মোবাইল ফোনের মতোই কম্পিউটার ও ল্যাপটপের আইসি গুলোতেও সোনা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ভাবেই বাতিল ল্যাপটপ মোবাইল দিয়ে চলছে কোটি কোটি টাকার কারবার।
সূত্র: ইন্টারনেট
আরও পড়ুনঃ ২৫ আগস্ট শুরু বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি