আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: মানিব্যাগে যেসব জিনিস রাখা উচিত না । ‘ওয়ালেট’ বা টাকা রাখার ব্যাগেতো টাকাই নেওয়া হয়। তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে মানিব্যাগে টাকা ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড, ব্যবহৃত রশিদসহ আরও কত কিছু!
আর সাবধান না হলে এসব জিনিস হারানো গেলে পড়তে হয় নানান ঝক্কি ঝামেলায়।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘আইডেন্টিটি থেফট রিসোর্স সেন্টার’য়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইভা ভেলাসকেজ রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “আমরা অনেকেই ওয়ালেট বা মানিব্যাগে নানান সংবেদনশীল জিনিস নিয়ে ঘুরে বেড়াই। যেগুলো হয়ত আমাদের দৈনিক জীবনে সবসময় কাজেও লাগে না।”
এই ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজ বা ‘ডকুমেন্ট’ নিয়ে ঘোরাফেরা করাটা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। হারানো বা চুরি গেলে পড়তে হয় নানান সমস্যায়।
“ভ্রমণে গেলে যেমন টাকা আর প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিস ছাড়া মানিব্যাগে অন্য কিছু রাখা হয় না, তেমনি প্রাত্যহিক জীবনেও এই পদ্ধতি খাটাতে হবে”- পরামর্শ দেন ভেলাসকেজ।
আরও পড়ুনঃ কি-বোর্ডে অক্ষরগুলো এলোমেলো থাকে কেন?
জাতীয় পরিচয়পত্র
এই পরিচয়পত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। যা নিয়ে ঘোরাফেরা করাটা অপ্রয়োজনীয়। এটা হারানো গেলে যে কেউ এই তথ্য ব্যবহার করে নানান সুযোগ নিতে পারে।
তাই মানিব্যাগে না নিয়ে বরং একটা ‘কপি’ নিজের ইমেইলে রেখে দেওয়া যেতে পারে।
পাসপোর্ট
এটাও এক ধরনের পরিচয়পত্র। দেশের বাইরে ভ্রমণে না থাকলে সবসময় পাসপোর্ট বয়ে বেড়ানোর কোনো মানে হয় না।
ব্যাংকের ডেবিট কার্ড
চিন্তা আসতে পারে মানিব্যাগে ব্যাংকের কার্ড রাখবো না তো কই রাখবো!!
তবে ভেলাসকেজ’য়ের মতে, “ডেবিট কার্ড হারানো গেলে সেটা দিয়ে যে কেউ যখন তখন আপনার টাকা তুলে ফেলতে পারে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে মানিব্যাগে ব্যাংকের কার্ড না রেখে সাথের ব্যাগের অন্য কোথাও রাখা যেতে পারে। আর বর্তমান সময়ে ব্যাংকের কার্ড সরাসরি ব্যবহার না করেও, এর নম্বর দিয়ে অনলাইনে মূল্য পরিশোধের নানান ব্যবস্থা আছে। সেগুলোতে অভ্যস্ত হলে নিজের নিরাপত্তা বাড়ানো যাবে।”
আরও পড়ুনঃ কিভাবে পাসপোর্টের প্রচলন হয়েছিল
পুরানো রশিদ
মনে হতে পারে রশিদগুলোতে কোনো গোপনীয় তথ্য থাকে না। তবে এসব দিয়েই সুযোগ সন্ধানীরা নানান ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে।
ভেলাসকেজ উদাহারণ দিয়ে বলেন, “ধরা যাক এক চোর আপনার মানিব্যাগে রাখা কোনো পুরানো রশিদ পেল। সেটাতে যদি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের শেষের চারটি নম্বর থাকে, তবে সেই নম্বর দিয়ে সহজেই সুযোগ নেওয়া সম্ভব।”
অতিরিক্ত চাবি
মানিব্যাগে বাসার অতিরিক্ত চাবি নিয়ে ঘোরা মানে, আক্ষরিক অর্থেই চোরকে ঘরে আমন্ত্রণ জানানো। তার শুধু দরকার হবে বাসার ঠিকানা জানা। আর সেটা সে পেয়েও যাবে মানিব্যাগে যদি থাকে কোনো পরিচয় পত্র।
পাসওয়ার্ড
ভেলাসকেজ বলেন, “ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড সবসময় মনে রাখা সম্ভব হয় না। তবে মানুষের একটা সাধারণ অভ্যাস হল, পাসওয়ার্ড কাগজে টুকে মানিব্যাগে রেখে দেওয়া। যা একেবারেই অনিরাপদ একটি কাজ।”
আর সব পাসওয়ার্ড বা গোপন নম্বর সব জায়গায় সবসময় প্রয়োজনও হয় না। তাই এই ধরনের বিষয়গুলো বাসাতেই কোথাও লুকিয়ে রাখা নিরাপদ।
যে তিন জিনিস মানিব্যাগে রাখা উচিত
আরও পড়ুনঃ
❒ ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ সুপার সেলের পেছনের ইতিহাস জানেন কি?
❒ হারিয়ে যাওয়া NID ডাউনলোড করুন
❒ স্মার্টফোনে চার্জ দিতে মাসে কত টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়?
❒ পেজার কী এই ডিভাইসটি কী কাজে লাগে?
পরিচয়পত্র: যে কোনো একটি পরিচয়পত্র রাখা উচিত। সেটা হতে পারে অফিসের ‘আইডি’ কার্ড। কোনো মতেই পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র নয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে সেটা আলাদা রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ক্রেডিট কার্ড: প্রতারণার ক্ষেত্রে ডেবিট কার্ডের চাইতে ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাধারণত উন্নত হয়। যদি একাধিক ক্রেডিট কার্ড থাকে তবে দৈনন্দিন কেনাকাটার জন্য একটা নিয়েই ঘর থেকে বের হওয়া উচিত- পরামর্শ দেন ভেলাসকেজ।
জরুরি যোগাযোগ নম্বর: বন্ধুবান্ধব বা আত্মিয় স্বজনের যোগাযোগ নম্বরের তালিকা মানিব্যাগে রাখা ভালো বুদ্ধি। দুর্ঘটনায় পড়লে এসব নম্বরে সাহায্যকারীরা ফোন করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
❑ জেনে রাখুন থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট লাগে না বিশ্বের যে ৩ জনের মানুষের