আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: বুধ গ্রহের নতুন ছবি তুললো যুক্তরাজ্যের মহাকাশযান । ২০২৬ সালে বুধের কক্ষপথে প্রবেশের আগে ষষ্ঠ ও শেষবারের মতো এর পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় গ্রহটির একটি নতুন ছবি তুলেছে যুক্তরাজ্যের পাঠানো এক মহাকাশযান।
বুধের তোলা তিনটি ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ-এর ‘বেপিকলম্বো’ মহাকাশযান। এটি তৈরি করেছে স্টিভেনজভিত্তিক কোম্পানি ‘অ্যাস্ট্রিয়াম’, যেটির মূল কোম্পানি এয়ারবাস।
২০১৮ সালে উৎক্ষেপিত এ মহাকাশযানটিতে রয়েছে দুটি স্যাটেলাইট, যা এক বছরের জন্য বুধের তথ্য সংগ্রহ করবে। সূর্যের তাপ সহ্য করার জন্য এর বিশেষ ঢালের প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
বুধের পৃষ্ঠ থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দূরত্বে উড়ে যাওয়ার সময় গ্রহটির ছবি তোলে মহাকাশযানটির পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা। এ ছবির মধ্যে রয়েছে সূর্যের আলোয় আলোকিত বুধের উত্তর মেরুর এক অপূর্ব দৃশ্যও।
বুধ আসলে কী দিয়ে তৈরি ও এর গভীর বিভিন্ন গর্তে পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে কি না তা খোঁজার চেষ্টা করবে মহাকাশযানটি।
বেপিকলম্বোর ফ্লাইট ডায়নামিক্স ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক বুডনিক বলেছেন, “এখন থেকে দুই বছর পরে শুরু হতে পারে বেপিকলম্বোর মূল মিশন পর্ব। তবে বুধের এই নতুন ছবি অল্প জানা গ্রহটি সম্পর্কে অমূল্য নতুন তথ্য দিয়েছে আমাদের।”
আরও পড়ুনঃ
❒ চাঁদের দূরবর্তী অংশের অজানা তথ্য দিলেন চীনের বিজ্ঞানীরা
❒ চাঁদের সবচেয়ে বড় ও পুরনো গর্তের বয়স ৪৩২ কোটি বছর
❒ যেভাবে বাস অযোগ্য হয়ে উঠল মঙ্গল গ্রহ
❒ মহাকাশে যোগাযোগের মাধ্যম হবে লেজার প্রযুক্তি
ইএসএ তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ৩৭০ কোটি বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে তৈরি ‘বোরিয়ালিস প্লানিশিয়া’ নামে পরিচিত এক পার্শ্ববর্তী আগ্নেয়গিরির সমভূমির দৃশ্যও ধরা পড়েছে বেপিকলম্বোর পর্যবেক্ষণ ক্যামেরায়। এক হাজার চারশ ৯৬ কিলোমিটার চওড়া বুধের অন্যতম বড় গর্তটিও ধরা পড়েছে এতে।
বেপিকলম্বোর নামকরণ হয়েছে বিংশ শতাব্দীর ইতালীয় গণিতবিদ প্রয়াত জ্যুসেপ্পে বা বেপি কলম্বোর নামানুসারে। ১৯৭০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের মাহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বুধ নিয়ে করা ‘মেরিনার ১০’ মিশনে অবদান রেখেছিলেন তিনি। এর দুই দশক পরে ইতালীয় স্পেস এজেন্সি’র ‘টেদার্ড’ স্যাটেলাইট প্রকল্পেও অবদান রয়েছে তার।
ইএসএ-র বেপিকলম্বোর প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট জেরাইন্ট জোনস বলেছেন, “আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেপিকলম্বো থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে বুধের রহস্য উন্মোচনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করবে আমাদের গবেষণা দলটি।”
❑ মহাকাশ ও বিজ্ঞান থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ গ্রহাণুর আঘাতে লন্ডভন্ড হবে পৃথিবী!