আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব সিঙ্গেল ডে । একাদের জন্য আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যারা এখনও ভালোবাসার কোনো সম্পর্কে জড়াতে পারেননি, তাদের উদ্দেশেই আজ সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব সিঙ্গেল ডে।
প্রতি বছর ১১ নভেম্বর দিনটি প্রেমিক যুগলরা নয়; বরং পালন করে থাকেন শুধু সিঙ্গেলরা। ১৯৯৩ সালে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি প্রথম পালন করা হয়। দিবসটি ‘ব্যাচেলর ডে’ নামেও পরিচিত।
এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আপনি জানলে অবাক হবেন, চীনে সিঙ্গেল ডে-কে এতটাই গুরুত্ব দেয়া হয় যে দিবসটিতে সরকারি ছুটি থাকে।
প্রেমিকযুগলদের জন্য ভালোবাসা দিবসসহ নানা দিবস রয়েছে। যারা এখনো সিঙ্গেল তারা ভালোবাসা দিবস পালন করেন মন খারাপের দিন হিসেবেই। তাদের জন্যই আজকের এই দিনটি বিশেষ একটি দিন। কারণ আজ বিশ্ব সিঙ্গেল ডে। প্রতিবছর ১১ নভেম্বর তারিখটি শুধুই সিঙ্গেলদের জন্য।
আরও পড়ুনঃ বন্ধুকে উপহার দিতে পারেন যেসব গ্যাজেট
‘সিঙ্গেল ডে’ কীভাবে এলো? এখন নিশ্চয়ই এমন প্রশ্ন আপনার মনে ঘুরছে। ‘ডেজ অব দ্য ইয়ার’র তথ্য অনুসারে, এটি চীনা ছুটির দিন ও নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভূত।
ধারণা করা হয়, ১৯৯৩-এর দশকে একা থাকা মানুষদের জন্য প্রথম ‘সিঙ্গেল ডে’ উদযাপন করা হয়। ১১ নভেম্বর এমন তারিখ যেখানে ৪টি ‘এক’ আছে। তাই মনে করা হয় তারিখটি ৪টি একক ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এজন্যই দিনটিকে ‘সিঙ্গেল ডে’ হিসেবে প্রচলন করেন নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় ৪ শিক্ষার্থী।
ধারণাটি পরবর্তীতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত চীনের মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে যায়। এই ছুটির দিনে চীনের অনেক মানুষ আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করেন, শপিং করেন, ঘুরে বেড়ান। শুধু কী তাই, চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় কেনাকাটার দিনগুলোর একটি হয়ে উঠেছে ‘সিঙ্গেল ডে’।
অনেকে তো প্রায়ই বলেন, অন্য কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। একা থাকলেই তো নিজেকে বেশি ভালোবাসা যায়। নিজের প্রতি অনেক যত্নশীল হওয়া যায়। একা বা সিঙ্গেল থেকে মন খারাপ না করে বরং এটি উদযাপন করা যেতে পারে। চীনের মানুষ তা ঠিকই করছেন। এই দিবসটি করাই হয়েছে যেন, মানুষ একা থাকার জন্য গর্ব করতে পারেন, একা থাকাকে উদযাপন করতে পারেন।
এখন বিশ্বের অনেক জায়গায় ‘সিঙ্গেল ডে’ উদযাপিত হয়। যাইহোক, ২০০৯ সালে, আলিবাবার সিইও ড্যানিয়েল ঝাং দিনটিকে ২৪ ঘণ্টা কেনাকাটার উত্সব হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন। এখন, দিনটি সবচেয়ে বড় খুচরা ও অনলাইন শপিং দিবস হিসেবে পালিত হয়।
তাৎপর্য:
দিনটির তাৎপর্য হলো আনন্দের ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া। আপনি যে সম্পর্কেই থাকুন না কেন, নিজেকে ভালোবাসা এবং আপনার বন্ধুত্বের মূল্য দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে লোকেরা বিলাসবহুল অবকাশ, উপহার এবং পরিষেবার সঙ্গে নিজেদের আচরণ করে এবং নিজেদের সঙ্গে থাকার আনন্দ উদযাপন করে।
সূত্র : ন্যাশনাল টুডে
আরও পড়ুনঃ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়