আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের অনেক স্বাদুপানির প্রজাতি । বিশ্বের অসংখ্য প্রাণীর মধ্যে স্বাদুপানিতে বাস পৃথিবীর প্রায় ১০ শতাংশ মৎস্য প্রজাতির। অনেক সামুদ্রিক ও স্থলজ প্রাণীর মতোই স্বাদুপানির মাছের সংখ্যা কমছে। মিঠাপানিতে পাওয়া অনেক মাছের প্রজাতি প্রায় বিলুপ্তির মুখে এখন।
বিজ্ঞানীরা ক্রাস্টেসিয়ান পরিবারের কাঁকড়া, ক্রেফিশ, চিংড়ি, ড্রাগনফ্লাই ও ড্যামসেল্ফির মতো পোকামাকড়সহ প্রায় ২৩ হাজার ৪৯৬টি প্রজাতির অবস্থান মূল্যায়ন করেছেন। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এগুলোর মধ্যে ২৪ শতাংশ মাছ বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের প্রচলিত হুমকির কারণে মাছের সংখ্যা কমছে। পানিদূষণ, নদীতে বাঁধ, শিল্প ও কৃষির জন্য পানি সরবরাহের কারণে মাছের সংখ্যা কমছে। এ ছাড়া আক্রমণাত্মক প্রজাতির বিকাশের কারণে অনেক মাছের বিলুপ্তি ঘটছে। নেচার জার্নালে মাছের বিলুপ্তি নিয়ে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের বিজ্ঞানী ক্যাথরিন সায়ার বলেন, এরই মধ্যে অনেক মাছের বিলুপ্তি ঘটেছে। সুলাওয়েসির মিনি ব্লু বি চিংড়ি, সেশেলস ডুসখাওকার ড্রাগনফ্লাই, ব্রাজিলের আটলান্টিক হেলিকপ্টার ড্যামসেলফ্লাই, যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসের ডেইজি বরোয়িং ক্রেফিশসহ অনেক প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
গবেষকেরা বলেছেন, বিভিন্ন অঞ্চলে ১৯৭০ সাল থেকে এক–তৃতীয়াংশেরও বেশি মাছ হ্রাস পেয়েছে৷ শুধু মাছ নয়, অন্য অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, সরীসৃপ ও উভচর প্রাণীর অবস্থা বেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ
❒ ভূ-পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির বাজার ২০৩৩ সালে ছাড়াবে ৮০০ কোটি ডলার
❒ সূর্যালোক ও সালোকসংশ্লেষণ ছাড়াই জন্মাবে গাছ
❒ সমুদ্রের নিচের তাপমাত্রাও বাড়ছে
❒ পানির নিচে গান বাজিয়ে প্রবালপ্রাচীর রক্ষায় অভিনব উদ্যোগ
নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, স্বাদুপানির প্রাণী গোষ্ঠীর মধ্যে ৩০ শতাংশ ক্রাস্টেসিয়ান, প্রায় ২৬ শতাংশ মাছ এবং ড্রাগনফ্লাই ও ড্যামসেলফ্লাইয়ের ১৬ শতাংশ প্রজাতিক হুমকির মুখে আছে। গবেষকরা বিশ্বব্যাপী চারটি স্থান চিহ্নিত করেছেন যেখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মিঠাপানির প্রজাতি রয়েছে।
আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া হ্রদ, দক্ষিণ আমেরিকার টিটিকাকা হ৶দ এবং পশ্চিম ভারত ও শ্রীলঙ্কার অঞ্চলে বেশি স্বাদুপানির মাছ পাওয়া যায়। এসব এলাকার অনেক মাছ হুমকির মুখে আছে।
সূত্র: রয়টার্স
❑ পরিবেশ বিজ্ঞান থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ রাইট হোয়েল ১৩০ বছরেরও বেশি সময় বাঁচতে পারে