আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের সামনে ইংল্যান্ডের রানের পাহাড় । বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ইংল্যান্ড বিশাল লক্ষ্য দিল টাইগারদের। শুরুটা ভালো হলেও পরবর্তিতে চড়াও হয়েছেন ইংলিশ ব্যাটাররা। বিশেষ করে ডেভিড মালান। এই ওপেনার এদিন রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন বাংলাদেশি বোলারদের ওপর দিয়ে। মালানের সেঞ্চুরি আর জো রুটের হাফ সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড।
মঙ্গলবার হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তুলে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেছেন মালান। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।জিততে হলে সাকিবদের ৩৬৫ রান করতে হবে।
ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
কোনো চমক নয়। দুই প্রান্ত দিয়ে পেস দিয়েই আক্রমণ শুরু করেন সাকিব। মোস্তাফিজুর রহমান আর তাসকিন আহমেদ প্রথম ৪ ওভারে দেন ১৫ রান।
আরও পড়ুনঃ ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনের বিস্তারিত
তবে পঞ্চম ওভার এসে হাত খুলেন ডেভিড মালান। টানা দুই বলে মোস্তাফিজকে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে রান বাড়িয়ে নেন এই ওপেনার।
মোস্তাফিজকে তার পরের ওভারে ফের টানা দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকান মালান। তার সঙ্গে তাল মেলাতে চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোও। ফলে ৪৯ বলেই জুটিতে ফিফটি পূরণ করে ফেলেন তারা। ১০০ ছুঁতে লাগে ৯৩ বল।
৩৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন মালান। বেয়ারস্টো ছিলেন তার তুলনায় একটু ধীরগতির। তার পঞ্চাশ ছুঁতে লাগে ৫৪ বল।
কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ইনিংসের ১৮তম ওভারে ওপেনিং জুটিটি ভাঙেন সাকিব। ৫৯ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫২ রান করা বেয়ারস্টোকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন টাইগার অধিনায়ক। ১১৫ রানে আসে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি থেকে।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেকটি বড় জুটি গড়ে ফেলে ইংলিশরা। ১১৭ বলেই ১৫১ রান তুলে ফেলেন জো রুট আর মালান। ৯৩ বলে সেঞ্চুরি করেন মালান। অবশেষে মালানকে বোল্ড করে এই জুটিটি ভাঙেন শেখ মেহেদি।
১০৭ বলে ১৪০ রান। ১৬ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা। ডেভিড মালানের ক্যারিয়ারে এমন দিন আর আসেনি। বাংলাদেশকে পেয়ে নিজের ক্যারিয়ারসেরা ওয়ানডে ইনিংসটাই খেলে ফেললেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এর আগে তার সেরা ইনিংস ছিল ১৩৪ রানের।
এরপর ৩৯তম ওভারে শরিফুল ইসলাম তুলে নেন জস বাটলারকে। ইনসাইডেজ হয়ে স্টাম্প হারানোর আগে ১০ বলেই ২০ রানের ছোট এক ঝড় তুলে দিয়ে যান ইংলিশ অধিনায়ক।
নিজের পরের ওভারে এসে হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি করেন শরিফুল। পরপর দুই বলে তিনি সাজঘরে ফেরান জো রুট আর লিয়াম লিভিংস্টোনকে।
রুট চালিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আকাশে, মুশফিক সহজেই গ্লাভসবন্দী করেন সে ক্যাচ। ৬৮ বলে ৮২ রানের ইনিংসে ৮টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান ইংলিশ এই তারকা ব্যাটার।
৪২তম ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট। শরিফুল ইসলামের সুযোগ ছিল নিজের পরের ওভারে এসে হ্যাটট্রিক করার। হলো না।
আরও একবার টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাঁহাতি এই পেসারকে। ৪৪তম ওভারের প্রথম বলটি স্লোয়ার করেছিলেন শরিফুল, স্যাম কারান লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে তুলে নেন দুই রান।
এরপর হ্যারি ব্রুক (১৫ বলে ২০), স্যাম কারান (১৫ বলে ১১), আদিল রশিদকে (৭ বলে ১১) থামান শেখ মেহেদি। তাসকিন আউট করেন ক্রিস ওকসকে (১১ বলে ১৪)।
৮ ওভারে ৭১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন শেখ মেহেদি। ১০ ওভারে ৭৫ রানে ৩ উইকেট শরিফুলের। তাসকিন ৬ ওভারে ৩৮ রানে একটি এবং সাকিব ১০ ওভারে ৫৮ রানে নেন একটি উইকেট। ১০ ওভারে ৭০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৬৫ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে করতে হবে ওভার প্রতি ৭.৩০ রান করে।
আরও পড়ুনঃ রাতভর ইসরাইলের হামলা, গাজায় খাবার, গ্যাস, জ্বালানি বন্ধ