আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: ফোন যে ভাইরাস আক্রান্ত তা বুঝবেন কীভাবে ? সারাক্ষণ স্মার্টফোন নানান কাজে ব্যবহার করছেন। কখনো চ্যাট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করছেন, কখনোবা সিনেমা, নাটক দেখে সময় কাটাচ্ছেন। শুধু তাই নয় পড়াশোনা, গান শোনা সবই এখন এক স্মার্টফোনেই সেরে নেওয়া যায়। এছাড়া ঘরে বসে ব্যাংকের কাজগুলো মুহূর্তেই ফোন থেকে করে নিতে পারছেন।
আপনার দরকারি এই ডিভাইসটি যে কোনো সময় ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। ফলে হ্যাক হতে পারে ফোন। হ্যাকাররা বিভিন্নভাবে আপনার ফোনে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়। এরপর ফোনের সব তথ্য চুরি করতে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো, ফোন যে ভাইরাস আক্রান্ত তা বুঝবেন কীভাবে?
কয়েকটি লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে পারবেন আপনার ফোন ভাইরাসা আক্রান্ত কি না-
১। অচেনা অ্যাপ
আপনি ফোনে ইনস্টল করেননি এমন অ্যাপের সন্ধান পেলে দ্রুত সতর্ক হন। অনেক সময় ফোনের ফাইল ম্যানেজারে গিয়ে এপিকে ফাইল হিসাবে সেভ হয়ে যায় এই সব অ্যাপ। এগুলি ধীরে ধীরে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য লোপাট করতে শুরু করে। এমন অ্যাপ চোখে পড়লে দ্রুত সেগুলি ফোন থেকে মুছে ফেলুন।
২। দ্রুত চার্জ শেষ হওয়া
দ্রুত চার্জ শেষ হওয়াকে বলা হয় ব্যাটারি ড্রেনিং। এটি যদি ঘনঘন হয় তাহলে বুঝতে হবে কোথাও না কোথাও সমস্যা আছে। ফোন চার্জ দেওয়ার পরই দ্রুত হারে চার্জ নেমে যাওয়া ম্যালওয়্যার ভাইরাসের একটি লক্ষণ। কারণ এগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চার্জ শুষে নেয়।
আরও পড়ুনঃ ল্যাপটপের স্ক্রিন-কিবোর্ডে থাকে টয়লেটের মতো জীবাণু!
৩। দ্রুত মোবাইল ডাটা খরচ হওয়া
উদাহরণস্বরূপ, আগে যে কাজটা করতে ১০০এমবি ডাটা খরচ হত। সেটা এখন করতে ২০০এমবি বা তার বেশি খরচ হচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে কিছু না কিছু অসাধু কার্যকলাপ চলছে ফোনে। কারণ এই ধরনের ম্যালওয়্যার ভাইরাস ব্যাটারির পাশাপাশি দ্রুত হারে মোবাইল ডেটা খরচ করে।
৪। ফোনের সেটিং বদলে যাওয়া
অনেক সময় স্মার্টফোনের সেটিং আপনা আপনি বদলে যায়। আসলে ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লোপাট করার উদ্দেশ্যে সেটিংস বদলে ফেলে হ্যাকাররা। এমন কিছু চোখে পড়লে তড়িঘড়ি সাবধান হন। পাশাপাশি ফোন যদি ওভারহিটিং হয় তাহলে সতর্ক হতে হবে।
৫। ফোন স্লো হয়ে যাওয়া
নতুন ফোন কিনে বেশিদিন হয়নি। কিন্তু কমে গিয়েছে পারফরম্যান্স। বেশি সাইজের হাই-পারফরম্যান্স অ্যাপ ডাউনলোড না করেও যদি ফোনের গতি কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ম্যালওয়্যার ভাইরাস ঢুকেছে স্মার্টফোনে।
৬। অপ্রয়োজনীয় পারমিশন
ফোনে অ্যাপগুলো যদি অপ্রয়োজনীয় পারমিশন চায় তাহলে সতর্ক হতে হবে। কারণ অনেক অ্যাপ প্রয়োজনীয়তার বাইরে পারমিশন চেয়ে থাকে। এগুলো স্মার্টফোনের ক্যামেরা, লোকেশন, কন্টাক্ট, ক্যামেরা-সহ একাধিক ব্যক্তিগত তথ্যের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়।
সূত্র: মেক ইউজ অব
আরও পড়ুনঃ আপনি চাইলেই ফ্যানটিকে রিমোটের মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে পারবেন