আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: পেটের মেদ কমানোর সহজ ও ঘরোয়া কিছু উপায় । ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। পেটের মেদ কমানোর সহজ ও ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে জানান হল।
পেটে মেদ কেন হয়?
আমরা সারাদিন যেসব খাবার খাই, তা থেকে আমাদের শরীরে কাজ-কর্ম করার শক্তি আসে। তবে কাজের ব্যস্ততা বা চাপের কারণে বেশিরভাগ সময় আমরা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। অথচ সারাদিন অফিসে বসে কাজ করা বা শারীরিক কসরত না করার ফলে সেই ক্যালোরি খরচ হয় না। ফলে সেই অতিরিক্ত খাবার, ফ্যাট বা গ্লুকোজ শরীরে জমে যায়। সেই থেকে মেদ বাড়তে শুরু করে।
অর্থাৎ উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারে পেটের মেদ বাড়ায়। শুধু তাই নয়, বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবারেও পেটের মেদ বাড়াতে পারে। এ জন্য অনেকে জিমে গিয়ে বা ডায়েট কন্ট্রোল করেও ভুঁড়ি কমতে চায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে জিন বা হরমোনগত সমস্যার কারণে ওজন কমানো বা মেদ কাটানো কঠিন হয়ে ওঠে।
গরম পানিতে লেবু
সকালে এক কাপ ঘন কফি বা চা মন মেজাজ ভালো করে দেয় ঠিকই। কিন্তু যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানিতে লেবুর রস পান করুন।
লেবু ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটা দ্রুত চর্বি কমাতে সহায়তা করে। গরম পানিতে লেবু খাওয়া বেশি কষ্টকর মনে হলে এতে এক চামচ মধু যোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৫হাজার কদম হাঁটুন
প্রতিদিন জিরা পানি পান
সকালে পানীয় হিসেবে জিরা পানি পান করুন। এটা হজমে সহায়তা করে, পেট ফোলাভাব কমায় ও পেটের মেদ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা
শরীরে শক্তি যোগাতে প্রোটিন ভূমিকা রাখে। নাস্তায় প্রোটিন খাওয়া পেশি গঠনের পাশাপাশি সারাদিন পেট ভরা অনুভূত হতে সহায়তা করে। ফলে বাড়তি ক্যালরি গ্রহণের ঝুঁকি কমে।
প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহে চর্বি সঞ্চয়কারী ইন্সুলিনের মাত্রা কমায়।
শস্য-জাতীয় খাবার
শস্য-জাতীয় খাবার আঁশ সমৃদ্ধ। এটা শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্ষুধাভাব কমাতে ও উচ্চ ক্যালরিবহুল খাবারের চাহিদা কমাতে সহায়তা করে। উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ শস্য ওজন কমায় এবং পেটের মেদ কমাতেও সহায়তা করে।
মসলা
আদা স্থূলতার সমস্যা কমায় এবং প্রদাহনাশক উপাদান সমৃদ্ধ। ওজন কমাতে চাইলে খাবারে এই ধরনের মসলা যোগ করুন। এটা দেহের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
আরও পড়ুনঃ
❒ ওজন কমাতে পারবেন প্রমাণিত এমন ১৫ উপায় জেনে রাখুন
❒ ওজন কমানো নিয়ে ৫টি প্রচলিত ভুল ধারণা
❒ সকালের যে সাত অভ্যাস পেটের চর্বি কমাবে
❒ ব্যায়াম ছাড়াই ফিট থাকার ৭ উপায়
মানসিক চাপ কমাতে যোগ ব্যায়াম বা ধ্যান
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ চর্বি বৃদ্ধিকারী হরমোন যেমন কর্টিসোলের মাত্রা বাড়ায়। কর্টিসোলের তীব্রতা ক্ষুধা বাড়ায়, ক্যালরি বহুল খাবারের চাহিদা বাড়ায় এবং পেটে চর্বি জমাতে ভূমিকা রাখে। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগ ব্যায়াম ও ধ্যানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পর্যাপ্ত পানি পান
ওজন কমানোর মূল চাবি কাঠি হল পর্যাপ্ত পানি পান। নিজেকে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি এটা অস্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা কমায়। খাবারের আগে পানি পান অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে ফলে পেটে চর্বি জমা হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
❑ ফিটনেস থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ কোন বয়সে প্রতিদিন কত মিনিট হাঁটলে উপকার