আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীকে টার্গেট করে ছুটে আসছে অতিকায় ৫ গ্রহাণু । যদিও এগুলো পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। পৃথিবীর কক্ষপথকে পাশ কাটিয়ে যাবে।
গ্রহাণু হল এক ধরনের শিলা, যা সূর্যের চারপাশে গ্রহের মতো ঘোরে। এরা গ্রহের তুলনায় আকারে অনেক ছোট হয়। তবে জানলে অবাক হবেন, অধিকাংশ গ্রহাণু মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষপথে পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথেও এরা একইভাবে ঘুরতে থাকে। যখন সৌরজগৎ তৈরি হচ্ছিল, তখন গ্যাস এবং ধূলিকণার মেঘ ছিল, যা একটি গ্রহের আকার নিতে পারেনি।
জেনে নিন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা পাঁচটি গ্রহাণু সম্পর্কে
এক নম্বরে 2002 CE। এটি 1 ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সোকোরোতে লিঙ্কন ল্যাবরেটরির পরীক্ষামূলক সাইটে LINER প্রোগ্রামের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন। এটি একটি পাথুরে গ্রহাণু, যা পৃথিবী থেকে খুব কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থিত।
আরও পড়ুনঃ মহাকাশে ‘ভ্যাম্পায়ার’ নক্ষত্রের সন্ধান নাসার!
জিওগ্রাফোস (Geographos) রয়েছে দুই নম্বরে। এটি একটি বিরাট বড় ও পাথরযুক্ত গ্রহাণু। এটি ১৯৫১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরিতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন।
তিন নম্বরে আছেন টাউটিস (Toutatis)। এর গতি ধীর। অন্য সব গ্রহাণুদের মতো মহাকাশে ছুটে বেরাতে পারে না। তবে এটি বর্তমানে পৃথিবীর অনেকটা কাছেই রয়েছে। এটি ১৯৮৯ সালে ফরাসি জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ান পউলাস ক্যাসোলাসে আবিষ্কার করেছিলেন।
ওলজাতো (Oljato) আছে চার নম্বরে। ওলজাটো অ্যাপোলো গ্রুপের একটি অস্বাভাবিক গ্রহাণু। অন্য সব গ্রহাণুদের থেকে অনেকটাই আলাদা। এটি 12 ডিসেম্বর 1947 সালে অ্যারিজোনার ফ্ল্যাগস্টাফের আমেরিকান লোয়েল অবজারভেটরি দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল।
পাঁচ নম্বরে রয়েছেন মিডাস (Midas)। মিডাস একটি ভেস্টয়েড গ্রহাণু। এটি ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো কাউন্টির পালোমার অবজারভেটরিতে আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ৬ মার্চ, ১৯৭৩ সালে আবিষ্কার করেছিলেন। এটিও বর্তমানে পৃথিবীর অনেকটা কাছে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভয়েজার ১ পৃথিবী থেকে ১৫০০ কোটি মাইল দূরে