আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: দেউলিয়া হবার আশঙ্কায় চ্যাটজিপিটির কোস্পানি । চ্যাটজিপিটি নামটির সঙ্গে ইতোমধ্যেই পরিচিত হয়ে গেছে সবাই। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের প্রয়োগও ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতি মানে তো তা প্রয়োগের খরচও বেশি। আর তাতেই বিদ্ধ চ্যাট জিপিটি। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রতিদিন যে হারে খরচ হচ্ছে, তাতে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মধ্যেই নাকি দেউলিয়া হতে পারে সংস্থাটি।
ওপেন এআইয়ের হাত ধরে চ্যাটজিপিটির আত্মপ্রকাশ প্রযুক্তি জগতে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দেয়। ধুমধাম করে পথচলা শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়ে ফেলে চ্যাটজিপিটি। তবে শোনা যাচ্ছে চ্যাটজিপিটি চালাতেই দৈনিক প্রায় ৭ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার বেশি) খরচ হয়। অল্টম্যানের ওপেনএআই এই মুহূর্তে জলের মতো টাকা ঢালছে। জিপিটি–৩.৫ ও জিপিটি–৪–কে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় আনার চেষ্টা করলেও যথেষ্ট আয় করতে পারছে না সংস্থাটি।
আরও পড়ুনঃ প্রতি চ্যাটে আধা লিটার পানি খরচ করে চ্যাটজিপিটি!
শুধু তাই নয়, স্যাম অল্টম্যানের সংস্থা নাকি এই চ্যাটবটের জন্মের পর সবচেয়ে বেশি লোকসানের মুখ দেখেছে। ৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খুইয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, চ্যাট জিপিটির পেছনে এই হারে খরচ করতে থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে একেবারে দেউলিয়া হয়ে যাবে ওপেন এআই। এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, শুরুতে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই চ্যাটবট, সেই তুলনায় বর্তমানে তা কমেছে। গত জুনে যেখানে ১.৭ বিলিয়ন মানুষ এই চ্যাটবট ব্যবহার করছিলেন, সেখানে জুলাইয়ে তা কমে হয় ১.৫ মিলিয়ন। দ্বিতীয়ত, ইউজার কমলেও এই প্রযুক্তির পেছনে একই রকম খরচ করতে হচ্ছে কোম্পানিকে। ফলে চাপ বাড়ছে।
যদিও ওপেনএআই চলতি বছর ২০ কোটি ডলার এবং ২০২৪ সাল নাগাদ ১০০ কোটি ডলার বাৎসরিক আয়ের আশা করছে, তবে এর বাড়তে থাকা লোকসানের পরিমাণ সেই প্রত্যাশা পূরণ অসম্ভব করে তুলছে।
আপাতত মাইক্রোসফট পাশে থাকায় ওপেন এআইয়ের এই লোকসান বিশেষ গায়ে লাগছে না। কিন্তু, খরচ এভাবেই চললে অদূর ভবিষ্যতে ধাক্কা খাবে সংস্থা। এখন কীভাবে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সকে এই কোম্পানি বয়ে নিয়ে যাবে কিংবা বিকল্প কী ব্যবস্থা করে সেটাই দেখার বিষয়।
সূত্র: ইন্টারনেট
আরও পড়ুনঃ এক চার্জে ১২০০ কিলোমিটার চলবে ই-গাড়ি