আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: দুঃখ-দুশ্চিন্তা ভুলিয়ে দেওয়ার মতো কিছু আয়াত । কোরআনুল কারিম মহান আল্লাহর পবিত্র কালাম। এর তেলাওয়াত ও শ্রবণে প্রত্যেক মুমিনের হৃদয় বিগলিত হয়। পবিত্র কোরআনের প্রত্যেকটি আয়াতই মুমিনের জন্য প্রশান্তিময়। মনোযোগসহ শুনলে রহমতের বৃষ্টি ঝড়ে। এরপরও বিশেষ কিছু আয়াত রয়েছে, যা সব দুঃখ-কষ্ট, দুশ্চিন্তা, মানসিক অস্থিরতা ভুলিয়ে দিতে পারে। আসুন সেরকমই কিছু আয়াত দেখে নিই। সম্ভব হলে আয়াতগুলোর তাফসির পড়ে নেবেন।
১. قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ অর্থ: ‘বলুন, হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছো- (তোমরা) আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না; আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা যুমার: ৫৩)
২. أَلَا إِنَّ نَصْرَ اللَّهِ قَرِيبٌ ‘জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে।’ (সুরা বাকারা: ২১৪)
৩. سَيَجْعَلُ اللَّهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا ‘আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।’ (সুরা তালাক: ৭)
৪. إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا ‘নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৬)
আরও পড়ুনঃ ছোট্ট বাক্যটির মর্যাদা আসমান-জমিনের চেয়েও বেশি
৫. إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ ‘আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।’ (সুরা ইউসুফ: ৮৬)
৬. وَلَا تَيْأَسُوا مِن رَّوْحِ اللَّهِ ۖ إِنَّهُ لَا يَيْأَسُ مِن رَّوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ ‘আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।’ (সুরা ইউসুফ: ৮৭)
৭. لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ‘আল্লাহ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশি বোঝা চাপিয়ে দেন না।’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)
৮. وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ ‘এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)
৯. يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)
১০. وَلَمْ أَكُن بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا ‘হে আল্লাহ, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।’ (সুরা মরিয়ম: ৪)
উল্লেখ্য, পবিত্র কোরআন থেকে সবাই হেদায়াত লাভ করতে পারে না। যেমন- অহংকারী, দাম্ভিক, পরকালে অবিশ্বাসী, কোরআন নিয়ে সন্দেহকারী ইত্যাদি। সুতরাং উল্লেখিত আয়াতগুলো তাদের প্রশান্তির কারণ হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী পাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের তেলাওয়াত শোনে, অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (কুফরের ওপর) অটল থাকে, যেন সে তা শোনেনি। তাকে সংবাদ দাও বেদনাদায়ক শাস্তির।’ (সুরা জাসিয়া: ৭-৮)
আরও পড়ুনঃ আল্লাহর কাছে মানুষের মর্যাদার মানদণ্ড তাকওয়া