আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: ড্রোন-রকেট হামলায় উত্তপ্ত ভারতের মণিপুর । ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে চলমান জাতিগত সহিংসতায় প্রথমবারের মতো ড্রোন ও রকেটের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রাজ্যটির বাসিন্দারা।
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজেপি সরকারও। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজ্যজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থাও।
জ্বলছে ভারতের মণিপুর। জাতিগত সহিংসতায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত মাঝে কিছুটা কমলেও সম্প্রতি আবারো নতুন করে দুই বিদ্রোহীগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবারের হামলার ঘটনায় প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয় ড্রোন ও রকেটের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র। আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রোববার রাজ্যজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অ্যান্টি ড্রোন ব্যবস্থাও। মণিপুরের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন-বিরোধী ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ গত ৩০০ দিনে ফিলিস্তিনে ৪০ হাজার ৭৪ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল
এরমধ্যেই গভীর রাতে মণিপুর পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টা চালানো হয়। তবে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়ার দাবি করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কিছু দুষ্কৃতকারী মণিপুর রাইফেলস ব্যাটালিয়নের দুটি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে। তবে সেখানে মোতায়েন থাকা সম্মিলিত নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা টিয়ারগ্যাস এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজ্যটির জিরিবাম জেলায় দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে দুদফা বন্দুকযুদ্ধে বেশ কয়েকজনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
গেল কয়েকদিনে সহিংসতার ঘটনায় রাজ্য পুলিশ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছে। জেষ্ঠ্য কর্মকর্তাদের মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে।
উত্তপ্ত এ পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যটির ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং। বৈঠকে আলোচনা হয় সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের সিরিজ হামলার বিষয়ে। এরপর রাজ্যপাল এল. আচার্যের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান তিনি।
এছাড়াও মণিপুরের চলমান সংকট ও বেসামরিক নাগরিকের জীবন এবং সম্পদে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সেখানকার পুলিশ মহাপরিচালক রাজীব সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেছে ইম্ফাল ভিত্তিক গোষ্ঠী দ্য কর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইনটিগ্রিটি।
গেল বছর মে মাসে মণিপুরেহিন্দু ধর্মাবলম্বী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী কুকি সম্প্রদায়ের সংঘাত শুরু হয়। জাতিগত সহিংসতায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুইশতাধিক।
গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রাজ্য জুড়ে জারি করা হয় কারফিউ। সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা।
❑ আন্তর্জাতিক থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ ভারতের ‘র’ ও হাসিনার পরবর্তী পরিকল্পনা কী?