আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: চাঁদের চারপাশে একাধিক স্যাটেলাইট ঘটতে পারে বিপত্তি । পৃথিবী ছাড়িয়ে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে চন্দ্রযান-3। তবে এই মুহূর্তে কেবল ভারতের স্যাটেলাইটই যে চাঁদের কক্ষপথে একমাত্র যান হিসেবে অগ্রসর হচ্ছে তা নয়। চাঁদের কক্ষপথে আরও একাধিক কার্যকলাপ হতে চলেছে। তার ফলেই সেখানে একপ্রকার ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত চাঁদ মোট ছয়টি সক্রিয় চন্দ্র কক্ষপথ এবং আরও বেশ কিছু মিশনের একটি আলোড়ন কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে।
এই ঘটনাকে বলা হচ্ছে লুনার ট্রাফিক। এই মুহূর্তের লুনার ট্রাফিকে রয়েছে নাসার লুনার রিকনেসান্স অর্বিটার (LRO), আর্টেমিসের অন্তর্ভুক্ত নাসার থেমিস মিশনের দুটি প্রোব, ভারতের চন্দ্রযান-২, কোরিয়া পাথফাইন্ডার লুনার অর্বিটার (KPLO) এবং নাসার ক্যাপস্টোন।
আরও পড়ুনঃ পৃথিবীকে চড়া রোদ থেকে বাঁচাতে মহাকাশে ছাতা লাগাচ্ছে বিজ্ঞানীরা
LRO লঞ্চ করা হয়েছিল ২০০৯ সালের জুন মাসে, যা ৫০-২০০ কিলোমিটার উচ্চতায় চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি হাই-রেজ়োলিউশন মানচিত্র দিতে পেরেছে। ARTEMIS P1 এবং P2 যান দুটি ২০১১ সালের জুন মাসে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার x ১৯,০০০ কিলোমিটার উচ্চতার স্থিতিশীল নিরক্ষীয়, উচ্চ-অকেন্দ্রিক কক্ষপথে কাজ করে যাচ্ছে এই যান দুটি।
এদিকে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ তার বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলা সত্ত্বেও, ১০০ কিলোমিটার উচ্চতার মেরু কক্ষপথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদের এহেন ট্রাফিকে যথেষ্ট অবদান রয়েছে কেপিএলও এবং ক্যাপস্টোনেরও। এদের মধ্যে ক্যাপস্টোন একটি নিয়ার-রেকটিলিনিয়ার হ্যালো অরবিটে (এনআরএইচও) কাজ করে।
চাঁদের কক্ষপথে আরও ট্রাফিকের সম্ভাবনা:
আগামী দিনে চাঁদের কক্ষপথ আরও ব্যস্ততম হতে চলেছে। কারণ, ১০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার রাশিয়া তার লুনা ২৫ মিশন লঞ্চ করতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, স্যাটেলাইটটি চাঁদের কক্ষপথে চলে আসবে চলতি বছরেরই ১৬ আগস্ট নাগাদ।
এই মিশনের লক্ষ্য হল, চাঁদের দক্ষিণ মেরু অন্বেষণ করা এবং তার মধ্যে দিয়ে ৪৭ বছরের বিরতির পর চন্দ্রপৃষ্ঠে রাশিয়ার প্রত্যাবর্তন চিহ্নিত করা। লুনা ২৫ প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতার কক্ষপথে চন্দ্রের কক্ষপথে যোগ দেবে এবং ২১ থেকে ২৩ আগস্টের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে।
লুনা ২৫ ছাড়াও নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রাম চলমান চন্দ্র অভিযানের পরিকল্পনা করছে। আর্টেমিস ১ হল একটি ক্রুবিহীন পরীক্ষামূলক ফ্লাইট, যা ২০২২ সালের শেষ দিকে চাঁদের বাইরে প্রদক্ষিণ করেছিল।
ভবিষ্যতের আর্টেমিস মিশনগুলিও চাঁদের কক্ষপথে ট্রাফিকের সৃষ্টি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। চন্দ্রাভিযানের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গেই চাঁদে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং অনুসন্ধানের জন্য সেটি একটি হটস্পট হয়ে উঠেছে।
সূত্র: ইন্টারনেট
আরও পড়ুনঃ ১০০ ফুট নিচে পড়েও বেঁচে গেল শিশুটি