আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করলো চন্দ্রযান-৩ । শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো এ তথ্য জানায়।
ইসরো জানায়, চাঁদ এবং চন্দ্রযান-৩ এর মধ্যে যখন দূরত্ব সবচেয়ে কম ছিল তখনই এটি কক্ষপথ পরিবর্তন করেছে। পরবর্তীতে কক্ষপথের দূরত্ব কমানোর কাজটি করা হবে। এই দূরত্ব কমতে শুরু করবে রোববার রাত ১১টার পর থেকে। যদি এই অভিযান সফল হয় তবে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণা কাজ শুরু করতে পারবে। চাঁদের ওই অংশ সম্পর্কে এখনো খুব কমই জানে মানুষ।
এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের মহাকাশযান নিরাপদে চাঁদের মাটিতে নামতে পেরেছে। পৃথিবী থেকে চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদে পৌছতে সময় লাগবে মোট ৪০ দিন। শনিবার তার মধ্যে ২২তম দিন সম্পূর্ণ হলো।
গত ১৪ জুলাই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ হয়। আগামী ২৩ বা ২৪ অগাস্ট এটি চাঁদে দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি রোবটযান নামাতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন আগামী ১৭ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চন্দ্রযানের কক্ষপথে প্রবেশ করার পর ইসরোর দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ সফট ল্যান্ডিং। ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান এর মূল যান থেকে আগামী ১৭ অগাস্ট বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
ইসরোর হিসাব অনুসারে ঠিক তার ছয়দিন পর চাঁদে অবতরণ করবে বিক্রম।। শেষবারে এই অবতরণের সময়ই বিপদ ঘটেছিল তাই এবার সেই সময়টি নিয়ে যেনো উত্কণ্ঠা কাটছে না ইসরোর বিজ্ঞানীদের।
চাঁদে পৌঁছানোর চেষ্টায় এর আগে দুবার অভিযান চালিয়েছে ভারত। ২০০৮ সালে প্রথম অভিযানে চন্দ্রযান-১ পৌঁছেছিল চাঁদের কক্ষপথে। ২০১৯ সালের দ্বিতীয় অভিযান আংশিকভাবে সফল হয়েছিল। চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার এখনো চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করছে এবং তথ্য পাঠাচ্ছে। কিন্তু এর ল্যান্ডার অবতরণের সময় শেষ মুহূর্তের জটিলতায় চাঁদের মাটিতে বিধ্বস্ত হয়। ৩৯০০ কেজি ওজনের চন্দ্রযান-৩ বানাতে খরচ হয়েছে ৬.১ বিলিয়ন রুপি (সাড়ে ৭ কোটি ডলার)।
গত ১৪ জুলাই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ হয়। আগামী ২৩ বা ২৪ অগাস্ট এটি চাঁদে দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি রোবটযান নামাতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুনঃ তিন চাকার বৈদ্যুতিক সাইকেল বাজারে