আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: ঘরে বসে আয় করার ১০টি উপায় । ঘরে বসে আয় করা এখন আর অলীক কল্পনা নয়। দিবা-রাত্রির মতো সত্য। কেননা আজকের পৃথিবী ইন্টারনেট কেন্দ্রিক। প্রায় সবকিছুই এখন অনলাইনে করা হচ্ছে। তাই অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করার সুযোগ হয়েছে অবারিত। যা করোনাকালীন সময়ে খুবই বাস্তব আকারে আমাদের সবার সামনে হাজির হয়েছে। এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ব্যাপারটার সাথে আমরা খুবই পরিচিত। তাই অনায়াসে বলা যায় ঘরে বসে আয় করা এখন খুবই সম্ভব। তবে ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণার পাশাপাশি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ঘরে বসে আয় করার নানা উপায় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সফলতা অর্জন সম্ভব। এমন না যে, আজকে শুরু করলাম আর কাল থেকে টাকা আসা শুরু হবে। নানা প্রলোভন ও প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে অনলাইনে। তাই সর্তক হয়ে সব কিছু জেনে বুঝে অনলাইনে আয় করার পথ বেছে নিতে হবে। আজকে আমরা ঘরে বসে আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১। গ্রাফিক্স ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি ঘরে বসে অর্থ আয়ের ভালো উপায় হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার ডিজাইন দিয়ে রাখেন, তাহলে সেখান থেকে আয় করা সম্ভব। এমনকি আপনার তৈরি করা একটি পণ্য অনেকবার বিক্রিও হবে, অর্থাৎ একটি ভালো ডিজাইন থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় আসতে পারে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্সের কাজ বিক্রি করা যায়। তাছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
২। ফ্রিল্যান্সিং
ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবার আগে মাথায় আসে সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এটি বর্তমানে অনেকটা জনপ্রিয়ও বটে। আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা বা প্রতিভা থাকে তবে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায় ফ্রিল্যান্সিং। বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংক কী? এর সুবিধা-অসুবিধাসহ বিস্তারিত জানুন
7প্রচুর ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যারা আপনাকে আপনার দক্ষতার ক্ষেত্রে যেমন লেখা, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং বা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে কাজ খুঁজে দেয়। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। এসব সাইট থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়।
৩। ইউটিউব
নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য সৃজনশীল ও ভালো এডিটিং জানতে হবে। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে আপনার চ্যানেলে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে।
৪। কনটেন্ট রাইটিং
আপনি যদি লেখালিখিতে ভালো হন কিংবা একাধিক ভাষায় সাবলীলভাবে লিখতে পারেন, তাহলে সেই প্রতিভা ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন। আপনার আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসবে। এক্ষেত্রে কাজদাতা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্যও বলতে পারেন।
৫। অনুবাদ
আপনার যদি ইংরেজি কিংবা অন্য কোনো ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকে, তাহলে সেটি কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করা সম্ভব। যাদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জানা রয়েছে, তারা এসব ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে ভালো আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
৬। অনলাইন টিউটর
আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন এবং অন্যদের সেটি শেখাতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে আপনি শিক্ষার্থীদের অনলাইন টিউটরিং করে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। প্রচুর অনলাইন টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যা আপনাকে সারা বিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ করতে দেয়। যেমন- টুইটরডটকম, চেঙ টিউটর, প্রিপ্লি, ইউডেমি ইত্যাদি।
৭। সামাজিক মাধ্যমে ব্যবসা
আপনার যদি একটি বিশেষ প্রতিভা থাকে, যেমন কারুশিল্প বা গয়না তৈরি ইত্যাদি। আপনি পণ্য তৈরি করে, সেগুলো ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বা ইনস্টাগ্রামে বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি নিজের পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে চান, তাহলে একটি অনলাইন দোকানও খুলতে পারেন।
৮। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অন্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করে অর্থ উপার্জন করার একটি উপায় হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এ পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবপেজ বা ব্লগ দরকার। যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।
আরো পড়ুন: কম্পিউটারে এক্সপার্ট হবেন যেভাবে
৯। ব্লগিং করে আয়
ঘরে বসে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং। এর জন্য প্রাথমিকভাবে আপনার ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। নানান ফ্রি ব্লগ সাইট রয়েছে যাতে আপনি আপনার ব্লগ চালু করতে পারেন। নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ব্লগিং শুরু করতে পারেন। ব্লগে লেখালেখি তথা বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে যখন অধিক সংখ্যক লোক আপনার ব্লগসাইট ভিজিট করবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। তখন গুগল এর দেয়া বিজ্ঞাপনে ক্লিক থেকে আপনি অনায়াসে আয় করতে পারেন। আর এটা ঘরে বসেই করা যায়।
১০। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় এর একটি হলো গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়। আপনার ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ এ নির্ধারিত স্থানে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা যায়। গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনি গুগল থেকে টাকা পাবেন। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আয়ের সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ হলো গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয়। আপনি পৃথিবীর যে কোন স্থানে থাকেন না কেন নিয়মিত আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন।
আরো পড়ুন: মৌমাছি নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
১ Comment
I like this site very much, Its a real nice post to read and get information.Raise blog range