গরুর হাটে একদিন…
গরুর হাট— এ যেন ঈদুল আজহার ঠিক আগের ‘গ্র্যান্ড ফিনালে’। সকাল থেকেই হাটের পথে মানুষের ঢল। কেউ গরু কিনতে, কেউ দাম তুলতে, আর কেউ শুধুই “দেখি কী অবস্থা” বলতে বলতে চলে আসে উৎসুক মুখে।
প্রথমেই চোখে পড়ে—একজন গরুর পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন,
“ভাই, গরুটা খাঁটি দেশি! মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে।”
(অবশ্য পাশে দাঁড়ানো গরুর চোখ দেখে মনে হলো, সে নিজেই ব্যাপারটা জানে না।)
এক ক্রেতা পাস দিয়ে যেতে যেতে গরুর দিকে তাকিয়ে বলল,
“এইটারে তো মনে হয় জিমে পাঠাইছে, ভাই?”
বিক্রেতা হাসিমুখে উত্তর দিল, “নাহ ভাই, ঘাসের মাঝে প্রোটিন দিছি!”
এক লোক তো দাম শুনে এমনভাবে কেঁপে উঠল, যেন তার শরীরে ব্লু-টুথ কানেকশন অফ হয়ে গেছে।
“এত দাম ক্যান ভাই?”
—“ভাই, গরুর নাম শাকিব খান, দাম তো হবেই!”
আরেকজন তো গরুর দাঁত দেখে এতটাই চিন্তিত যে পাশে দাঁড়ানো ছেলে বলল,
“আব্বা, গরু না মানুষ খুঁজতেছেন?”
আরও পড়ুন:
❒ সেদিন আসলে কে জিতেছিল?
❒ শেষ দেখা
❒ পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গল্প
❒ প্রযুক্তির ভিড়ে হারিয়ে গেছে ঈদ কার্ডের পুরনো আমেজ
সবচেয়ে মজার ঘটনা—একটা গরু হঠাৎ ‘মুউউ’ করে ডাক দিলে এক মহিলা চমকে উঠলেন,
“আল্লাহ! এইটা কি বলে?”
—“গরু তো ভাই, গান গাইবো না তো কি মাইক্রোফোন দিবে?”
গরুর হাট মানেই হোক দাম, দরদাম আর দরকারের মাঝে এক অদ্ভুত সামাজিক নাটক। কেউ হাসে, কেউ হতাশ হয়, কেউ শেষমেশ শুধু সেলফি তুলে বাড়ি ফিরে।
লেখা: এম এইচ কবীর
❑ পাঠকের দৃষ্টি ও চশমা থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুন: জাহাপনা, দেশটা কি নাট্যমঞ্চ!