আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: “ক্যাট আইল্যান্ড” যেখানে মানুষের চেয়েও বিড়ালের সংখ্যা বেশি । বিশ্বে “বিড়ালের শহর” হিসেবে পরিচিত শহরটি হল তোকোনো (Tashirojima), যা জাপানে অবস্থিত। এই শহরটি বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা এবং তাদের উপস্থিতির জন্য বিখ্যাত।
তোকোনো দ্বীপ (Japan)
এটি বিশ্বে বিখ্যাত “ক্যাট আইল্যান্ড” (Cat Island) বা বিড়ালের দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। তোকোনো দ্বীপে বিড়ালের সংখ্যা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি, এবং সেখানে বিড়ালদের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা এবং যত্ন প্রদর্শন করা হয়। সেখানে প্রায় ২০০টিরও বেশি বিড়াল রয়েছে, এবং বিড়ালরা এই দ্বীপের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। তোকোনো দ্বীপে বিড়ালদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা এবং পর্যটকদের জন্য বিড়ালদের ছবি তোলার সুযোগও রয়েছে। এটি একটি ছোট দ্বীপ, এবং সেখানে বিড়ালদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আয়তন ২.৫ বর্গকিলোমিটার (১ বর্গমাইল)।
এটি একটি ছোট দ্বীপ, যা জাপানের মিয়াগি প্রিফেকচার অঞ্চলে অবস্থিত। তোকোনো দ্বীপটি মূলত বিড়ালদের জন্য বিখ্যাত, যেখানে বিড়ালদের সংখ্যা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। দ্বীপের ছোট আকার এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কারণে এটি পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান হয়ে উঠেছে।
বর্তমান তথ্য অনুযায়ী
বিড়ালের সংখ্যা: তোকোনো দ্বীপে প্রায় ২০০টিরও বেশি বিড়াল রয়েছে।
মানুষের সংখ্যা: দ্বীপে প্রায় ১০০-১২০ জন মানুষ বসবাস করে, তবে এটি পরিবর্তিত হতে পারে কারণ মানুষ মূলত গ্রীষ্মকালীন সময়ে এখানে থাকতে আসে, বিশেষত পর্যটকরা।
বিড়ালদের অবস্থান
তোকোনো দ্বীপে বিড়ালরা মুক্তভাবে চলাফেরা করে এবং দ্বীপের সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছে। এখানে পর্যটকরা আসেন বিড়ালদের সাথে সময় কাটাতে এবং তাদের ছবি তুলতে। দ্বীপে বিড়ালদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এবং তারা দ্বীপের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ায়।
আরও পড়ুনঃ মানুষের চোখের মেগাপিক্সেল কত?
তোকোনো (Tashirojima) সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য
১। অবস্থান
তোকোনো একটি ছোট দ্বীপ, যা জাপানের মিয়াগি প্রদেশে অবস্থিত। এটি মূলত মিয়াগি উপকূল থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে। তোকোনো দ্বীপটি প্রায় ৪৮০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২০০ মিটার প্রস্থের।
২। বিড়ালের প্রাধান্য
তোকোনো দ্বীপের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এখানে প্রচুর বিড়াল রয়েছে। দ্বীপে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যা অনেক বেশি। সেখানে বিড়ালরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিড়ালদের খুব ভালোবাসে।
৩। বিড়ালদের পছন্দ
এই দ্বীপে বিড়ালদের একটি বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে, এবং এখানে পর্যটকরা বিড়ালদের পছন্দ করার জন্য আসেন। তোকোনো দ্বীপে আসলেই অনেক বিড়াল রয়েছে এবং তারা স্বাভাবিকভাবেই দ্বীপটির জনপ্রিয়তা তৈরি করেছে। দ্বীপের লোকেরা বিড়ালদের খাবার এবং যত্ন দিয়ে থাকে।
৪। বিড়ালের সাথে সম্পর্ক
তোকোনো দ্বীপে বিড়ালের উপস্থিতি এতটাই বেশি, যে তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা “বিড়ালের ঘর”ও রয়েছে। এখানে বিড়ালরা স্বাভাবিকভাবে বাস করে এবং তাদের নিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শিত হয়। বিড়ালদের এখানে স্থান দেওয়া যেন স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৫। প্রশংসা এবং জনপ্রিয়তা
তোকোনো দ্বীপকে মাঝে মধ্যে “ক্যাট আইল্যান্ড” বা “বিড়ালের শহর” নামে উল্লেখ করা হয়। এখানে পর্যটকদের জন্য বিড়ালদের ছবির সৌন্দর্য, বিড়ালদের মুখাবয়ব এবং তাদের নানান আচরণ নিয়ে পর্যটন আকর্ষণ তৈরি করা হয়েছে। এই দ্বীপে ভ্রমণকারীরা বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের অবাধ চলাফেরা উপভোগ করতে আসেন।
আরও পড়ুনঃ
❒ বিশ্বে কতগুলো পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে?
❒ বিশ্বের বিস্ময়কর ৫ সামুদ্রিক সেতু যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে
❒ রহস্যময় এই সেতু থেকে কুকুর কেন লাফিয়ে আত্মহত্যা করে
❒ যাত্রা শুরু করলো বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরী
৬। বিড়ালদের সুরক্ষা
তোকোনো দ্বীপে বিড়ালদের একটি বিশেষ প্রোগ্রামও আছে যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা বিড়ালদের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা এবং পশু চিকিৎসকের সেবা রয়েছে।
তোকোনো দ্বীপ বিশ্বের একটি বিশেষ স্থানে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিড়ালের প্রতি অত্যন্ত সম্মান এবং ভালোবাসা প্রদর্শিত হয়। এটা এমন একটি স্থান, যেখানে মানুষ এবং পশু একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে এবং বিড়ালরা যেন পুরো দ্বীপের প্রাণ হয়ে উঠেছে।
❑ জানা-অজানা বিশ্ব থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ জেন জির উত্তরসূরি জেন বেটা আসছে ২০২৫ সালে