আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: কোডিং প্রতিযোগিতায় বিশ্বজয়ী বাংলাদেশের আদিব । জিডিপি’র সঙ্গে প্রোগ্রামিং দক্ষতাতেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অলাভজনক প্রকাশনা সংস্থা রেস্ট অব ওয়ার্ল্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিক থেকে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের মধ্যে বাংলাদেশে ৬৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রোগ্রামিং খাতে। বিশ্বব্যাপী সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের অন্যতম বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম গিটহাবের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী প্রোগ্রামিংয়ে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কেন্দ্র হিসেবে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ।
এই পালকে ২০২৪ সালের শুরুতে এসে আরো একটি সাফল্যের পালক যুক্ত হলো লাল-সবুজের পতাকায়। ‘ওয়ার্ল্ড গেম কোডিং কম্পিটিশন ২০২৪’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের কিশোর আদিব আহনাফ চৌধুরী। বিশ্বের ৫২ টি দেশের ৭৮৭টি বিদ্যালয়ের মোট ৯১৭ জন প্রতিযোগীর মধ্যে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত করেছে ১৪ বছর বয়সী স্কলাস্টিয়ান। পয়েন্ট টেবিলে আদিবের স্কোর ৪.৬৩। আদিব ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় ৭-৮ বছর বয়সীদের মধ্যে অনন্য স্কৃপ্টিং এর জন্য ঢাকার লিটিল অ্যাঞ্জেল স্কুলের শিক্ষার্থী আরিজুর রহমান আরিজ অষ্টম স্থান অর্জন করেছে। তার স্কোর ৪.০।
রোমানিয়ান সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল কিডস কোডিং কম্পিটিশন (আইকেসিসি)’ আয়োজিত ‘এসোসিয়াটা স্যাসোরিকোড’ ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়ে স্ক্র্যাচ ৩.০ ল্যাঙ্গুয়েজে করা প্রজেক্টের ‘প্লেনস’ নিয়ে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে আসীন হয় মিরপুরের স্কলাসটিকা বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। তার তৈরি গেইমে ১১ জন যাত্রী নিয়ে চিলিতে উড়াল দেয় একটি প্লেন। কিন্তু আন্দুস পাহাড়ের কাছে সেটি বিধ্বস্ত হয়। ১১ যাত্রীর মধ্যে তিনজন অ্যালেক্স, রবার্ট ও রাসেল বেঁচে যায় এই দুর্ঘটনায়। তবে বিধ্বস্ত এই বিমানটি মেরামত করে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে।
পুরস্কার হিসেবে আইকেসিসি ইন্টারন্যাশনাল কোডিং ডিপ্লোমা করার সুযোগ পেলো আদিব।
আরও পড়ুনঃ নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
শিশুদের গেম তৈরি, গল্প তৈরি বা অ্যানিমেশন তৈরির মতো দক্ষতা বৃদ্ধিতে সারা বছর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে আইকেসিসি। বিশ্বব্যাপী শিশুদের জন্য স্ক্র্যাচ কোডিং প্রতিযোগিতার সবচাইতে বড় এই আসরে কোডিং দক্ষতার প্রমাণ দেয় ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সের শিশুরা।
বিশ্বব্যাপী শিশুদের কল্পনা শক্তি এবং সৃজনশীলতাকে বাড়ানোর জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে সংগঠনটি। সংগঠনটির এই বিশ্বজয়ী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন আদিবের সঙ্গে একই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে আরো অংশ নিয়েছিলো ওয়েস্টএন্ড হাইস্কুলের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আহনাফ ও সানিডেল শিক্ষার্থী ইসমাম সারওয়ার ঈশান।
এছাড়াও ঢাকার পার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাহিব মুস্তাহিদ ৭-৮ বছর ক্যাটাগরি, রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের এহতেশামুল হক, ঢাকার রেডিও কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঈশা আহনাফ আলী, খুলনা সরকারি মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী সাদিক মাহমুদ ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাজদীপ সরকার ৯-১০ বছর ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছিলো।
সূত্র: আইকেসিসি
আরও পড়ুনঃ ইনটেলকে ১০০০ কোটি ডলার ভর্তুকি দেবে মার্কিন সরকার