আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ড্রোন উদ্ভাবন করল চীন । এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ড্রোন উদ্ভাবন করল চীন। নজরদারি করার ক্ষেত্রে এই ড্রোন কাজে লাগানো হবে। চ্যাট জিপিটি এআই মডেলের ওপর ভিত্তি করে ড্রোনটি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
চীনা বিজ্ঞানীদের দাবি আর পাঁচটি ড্রোন থেকে তাদের উদ্ভাবিত ড্রোন আলাদা। মানুষ যেমন সংঘবদ্ধ হয়ে যেকোনো অভিযান পরিচালনা করে ঠিক তেমনই ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনের। জানা গিয়েছে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চীন তাদের নিরাপত্তা, পরিবহণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা করতে পারবে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ড্রোন বানিয়েছেন নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডাক্তার লি জুলং। এই ড্রোনে রয়েছে মানুষের সমান বুদ্ধি। তিনি জানিয়েছেন, এটি কাজ করে ইনটার্নএলএমের মাধ্যমে। চ্যাটজিপিটির মতোই চীনের নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ইনটার্নএলএম।
আরও পড়ুনঃ ‘ডিপফেক’ এআইয়ের আরেক ফাঁদ, যেভাবে বুঝবেন এটা ভুয়া
এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ড্রোনগুলো নিজদের মধ্যে গ্রুপ চ্যাট করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বর্তমানে যে ড্রোনগুলো রয়েছে সেগুলো মাছি এবং পিঁপড়ের প্যাটার্ন অনুসরণ করে। কিন্তু চীনের বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ড্রোন যেকোনো নির্দেশ বুঝতে পারে। প্রশ্নের সমাধান করতে পারে। পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে সমস্ত ছবি-সহ আপডেটও ভাগ করে নিতে পারে।
জটিল অভিযানের সময় এআই চালিত ড্রোনগুলোর এই ক্ষমতা বেশ কাজে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মানুষের ভাষা বোঝার পাশাপাশি এই ড্রোন পরিবেশ বুঝে অভিযানের গুরুত্ব এবং নিজেদের সেই মতো প্রস্তুত করার ক্ষমতাও রয়েছে। গুচ্ছের সেন্সর ও অ্যালগরিদম রয়েছে এতে।
চীনের এই ড্রোনের কী কী ক্ষমতা রয়েছে?
✪ যেকোনো অঞ্চলের ডাইনামিক ম্যাপিং
✪ বাধাগুলো চিহ্নিত করে এড়িয়ে যাওয়া
✪ ওড়ার সময় সঠিক প্যাটার্ন অনুসরণ করা
✪ মানুষ এবং বস্তুর ভিজুয়াল আইডেন্টিফিকেশন
এই ড্রোন মানুষের সাহায্য ছাড়াই যেকোনো অভিযানে স্বাধীন ও নিরাপদ ভাবে কাজ করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি ড্রোনের একটি পরীক্ষাও চালিয়েছে চীনের বিজ্ঞানীরা। যেখানে তাদের মধ্যে কতটা সমন্বয় রয়েছে তা যাচাই করা হয়েছে।
এই পরীক্ষায় পাঁচটি ড্রোন নামানো হয়, যাদের কাজ ছিল একটি পার্কে কিছু চাবি খুঁজে আনা। এর মধ্যে তিনটি ড্রোন মানুষের সাহায্য ছাড়াই তৎক্ষণাৎ তল্লাশি চালাতে উড়ান দেয়। বাকি দুইটি ড্রোন জানিয়ে দেয় তারা সেই চাবিগুলো পুনরুদ্ধার করতে পারবে।
এই তল্লাশি চলাকালীন ছবিসহ সমস্ত আপডেট পৌঁছে যায় কন্ট্রোলারের কাছে। সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে সেই চাবিও খুঁজে পায় তারা এবং মানুষের সাহায্য ছাড়া সেগুলো পুনরুদ্ধারও করা হয়। এই পরীক্ষা থেকে প্রমাণ হয় মানুষের মতোই ড্রোনগুলোর মধ্যে বিশ্লেষণ, দায়িত্ব ভাগ করা এবং সহযোগিতা করার ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন