আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: কার্বণ নিঃসরণ শূন্যে আনবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা । বিশ্বের ৫০ শতাংশের কিছু কম সংস্থা ২০৩০ নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যে কোঠায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া শুরু করেছে। এই সংস্থাগুলো মনে করে কৃত্রিম বুদ্দিমত্তার ব্যবহারেই তা সম্ভব। প্রযুক্তি কোম্পানি সিমেন্স সম্প্রতি অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে গাঠনিকতার বিষয়টি নিয়ে জরিপ করেছে। তারা জরিপ ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জিরো কার্বন নেট লক্ষ্য বাস্তবায়নে কি কি করা যেতে পারে তার একটি পরামর্শও দিয়েছে।
তাদের জরিপ বলছে, বিশ্বের অনেক দেশে নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে অনেকের ধারণা তাদের অঞ্চলে পরিবেশ সংবেদনশীল কাঠামো গড়ে তোলার কাজ অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু বাস্তব পর্যবেক্ষণ বলছে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধিরগতির। আনুমানিক একটি হিসেবও পাওয়া গেছে, মাত্র ২৭ শতাংশ অগ্রগতি।
আরও পড়ুনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রযুক্তি খাতে স্মার্ট পরিবর্তন আনতে হবে এবং অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে হবে। পণ্য, প্রযুক্তি কাঠামো ও সেবাখাতে এমন ব্যবস্থা গড়তে হবে যা পরিবেশের ক্ষতি করবে না এবং কাররবন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের অনেক ব্যবসাই ডিকার্বনাইজেশন প্রক্রিয়ার অধীনে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ৪৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ২০৩০ নাগাদ এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানা গেছে এক প্রতিবেদনে। সিমেন্স মূলত এই প্রতিবেদনকে সংগ্রহ করে তাদের প্রস্তাবনা দেয়ার জন্য জরিপ চালিয়েছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, ভার্চুয়াল এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি বাস্তবায়ন এবং ফাইভজি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অটোমেশন নিশ্চিত করলে ৪৮ শতাংশ শক্তি সাশ্রয় সম্ভব।
আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
ডিজিটালাইজেশনের ফলে ৪৬ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলেও জানা গেছে। তাছাড়া এভাবে প্রায় ৪৫ শতাংশ ডিকার্বোনাইজেশন সম্ভব বলে জানা গেছে।
সিমেন্সের এই প্রতিবেদন বোঝাতে চাচ্ছে জনগণ, ব্যবসায় প্রতিষ্টান এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয়ই মূল নয়। উৎপাদন অবকাঠামোকে পুরোপুরি স্থানান্তর করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন ও সমন্বয়ের মাধ্যমে শক্তিসাশ্রয় এবং পরিবেশ সংবেদনশীল কাঠামোর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ দূর করা সম্ভব।
সূত্র: টেকনোলজি ম্যাগাজিন
আরও পড়ুনঃ তামিমকে ছাড়াই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু