আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: কামরাঙ্গার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও ঝুঁকি । কামরাঙ্গা একটি চিরহরিৎ ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির গাছ। ৬-৮ মিটার লম্বা হয়। তবে ঘন ডালপালা চারদিকে ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু অন্য কোনো গাছের সাথে থাকলে আরো বেশি লম্বা হয়। পাতা যৌগিক, ৩-৮ সে.মি. লম্বা। বাকল মসৃণ ও কালো বর্ণের হয়। ফল ১০-১৫ সে. মি. লম্বা ৬-৬ ভাঁজযুক্ত। কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে রং হলুদ বর্ণ ধারণ করে। আমড়ার মতোই কামরাঙ্গা দুই প্রকারের, একটি টক স্বাদযূক্ত এবং অন্যটি মিষ্টি। কামরাঙ্গা খাওয়া ছাড়াও এর জ্যাম, জেলি ও শরবত সুস্বাদু। এটি ভিটামিন এ ও সি- এর ভালো উৎস।
কামরাঙ্গার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
১. কামরাঙ্গা রক্ত পরিশোধন করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলে আছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ এলাচ খান, বদলে যাবে জীবন
২. ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়। আর বাতের ব্যথায়ও কামরাঙ্গা বেশ উপকারি।
৩. কামরাঙ্গা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খুব উপকারি। কামরাঙ্গায় আছে এলজিক এসিড। এটি অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৪. কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। দীর্ঘদিনের জমাট সর্দি বের করে দিয়ে কাশি উপশম করে। শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুব উপকারি।
৫. কামরাঙ্গা পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়। কৃমির সমস্যা সমাধানে কামরাঙ্গা ফলও উপকারি। কামরাঙ্গার রসের সাথে নিমপাতা মিশিয়ে খেলে কৃমি দূর হয়।
৬. প্রতি একশ গ্রাম কামরাঙ্গায় শক্তি মেলে ৩১ কিলোক্যালরি। শর্করা ৬.৭৩ গ্রাম, চিনি ৩.৯৮ গ্রাম, খাদ্য ফাইবার ২.৮ গ্রাম, স্নেহ ০.৩৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.০৪ গ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.৩৯ মিলিগ্রাম, ফোলেট (বি৯) ১২ μg, ভিটামিন সি ৩৪.৪ মিলিগ্রাম ছাড়াও কামরাঙ্গায় পাওয়া যাবে ভিটামিন এ, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও দস্তা।
কামরাঙ্গার স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি
কামরাঙা বেশি খেলে কিডনির ক্ষতি হয়। যাদের কিডনি ভাল, স্বাভাবিক পরিমাণে কামরাঙ্গা খেলে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু অনেকদিন ধরে বেশি কামরাঙ্গা খেলে কিডনি বিকল হতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তারা যদি অল্প পরিমাণ কামরাঙ্গা বা রস বা একটি বা কয়েক টুকরা কামরাঙ্গা খায়, তাহলে কিডনি বিকল হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ আদা সর্বরোগের মহৌষধ