আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: ইবাদত কবুলের জন্য অন্তত ৩ শর্ত মানতে হবে । আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদত করার জন্য। সেই ইবাদত শিক্ষা দেওয়ার জন্য যুগে যুগে তিনি নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তাঁরা নিজ নিজ উম্মতকে বিভিন্ন ইবাদত ও সেসব ইবাদতের নিয়ম-কানুন শিখিয়েছেন।
কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, উম্মতে মুহাম্মদিরও পালনীয় নানা ইবাদত রয়েছে এবং সেই ইবাদত কবুলের জন্য মানতে হবে মৌলিক তিন শর্ত। যদি তা থেকে একটি শর্তও অসম্পূর্ণ থাকে, তাহলে ইবাদত কবুল হবে না। নিচে ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. বিশুদ্ধ ঈমান ও ইখলাস
শিরক, কুফর ও নেফাকমুক্ত বিশুদ্ধ ঈমান ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত। যার ঈমান নেই, তার ইবাদত মহান আল্লাহর কাছে কবুলযোগ্য নয়। এছাড়াও ইবাদতটি পরিপূর্ণ ইখলাসের সঙ্গে হতে হবে। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় যাবতীয় কাজ সম্পাদনের নামই ইখলাস।
আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যের সামান্যতম সংমিশ্রণ থাকলে সেই ইবাদত আল্লাহ কবুল করবেন না। রাসুল (স.) বলেছেন, ‘আমি আমার উম্মতের জন্য যেসব বিষয়ে ভয় করি, তার মধ্যে অধিক আশঙ্কাজনক হচ্ছে, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। অবশ্য আমি এ কথা বলছি না যে তারা সূর্য, চন্দ্র বা প্রতিমার পূজা করবে; বরং তারা আল্লাহ ছাড়া অপরের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করবে এবং গোপন পাপ করবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২০৫)
আরও পড়ুনঃ নবীজি (স.) এর ১৪টি মহামূল্যবান অসিয়ত
ইখলাসশূণ্য ইবাদতের আরেকটি নমুনা হলো- ইবাদত করার পর তা মানুষের কাছে বলে বেড়ানো। এতে ইবাদত ধ্বংস হয়ে যায়। রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লোক-শোনানো ইবাদত করে আল্লাহ এর বিনিময়ে তার লোক-শোনানোর উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দেবেন।’ (বুখারি: ৬৪৯৯)
২, সুন্নতের অনুসরণ
অবশ্যই রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সুন্নত, রীতি ও তাঁর শিক্ষা অনুসারে ইবাদত করতে হবে। যদি কোনো ইবাদত তাঁর শেখানো ও আচরিত পদ্ধতিতে পালিত না হয়, তাহলে যত ইখলাস ও আন্তরিকতা-ই থাক না কেন, তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না বা তার কোনো সওয়াব মিলবে না। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর রাসুল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ করো এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো।’ (সুরা হাশর: ৭)
আরও পড়ুনঃ
❒ মহানবী (সা.)-এর কথাবার্তার ১০টি অনন্য সৌন্দর্য
❒ হাদিসের আলোকে জুমার রাতের বিশেষ কিছু আমল
❒ মোনাজাতের জন্য পবিত্র কোরআনে বর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ এগারটি দোয়া
❒ ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ একটি মহান ইবাদত
৩. হালাল ভক্ষণ
ইবাদত পালনকারীকে অবশ্যই হালাল-জীবিকা-নির্ভর হতে হবে। হারাম ভক্ষণকারীর ইবাদত আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘ওই গোশত (দেহ) জান্নাতে যাবে না, যা হারাম (খাবার) থেকে উৎপন্ন। জাহান্নামই এর উপযোগী।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৭২৩, তিরমিজি: ৬১৪)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হালাল উপার্জন করার এবং সুন্নত তরিকায় ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগী করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
❑ ইসলামী জীবন থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ অন্তত একটি আমল গোপন রাখতে পারলে পরকালে যে লাভ হবে