আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় ১১৮ কোটি টাকার বাড়ি কিনলেন মেসি । পিএসজি ছেড়ে কয়েক মাস আগে আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে রাজকীয় ভাবে বরণ করে নেয় মিয়ামি।
ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিয়েই রেকর্ড পর রেকর্ড গড়েছেন মেসি। তবে মিয়ামিতে যোগ দিয়ে নিজের বাড়ি কেনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন লা পুলগা। সেই কথা মিয়ামি কর্তাদেরও জানিয়েছিলেন লিও।
বিশ্বের অন্যতম সুন্দর সমুদ্র সৈকতের শহর মায়ামিতে মনের মতো বাড়ি খুঁজছিলেন মেসি। এতদিনে খুঁজে পেলেন পছন্দের বাড়ি। মায়ামির অভিজাত এলাকা ফোর্ট লডারডেলে প্রাসাদোপম বাড়ি কিনলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলে ১ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন মেসি, বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম ১১৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুনঃ আমি খুব ভাগ্যবান, ক্যারিয়ারের সবকিছুই অর্জন করেছি: মেসি
মার্কিন সাময়িকী ‘আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্ট’ বলছে, মেসির নতুন বাড়িটির আয়তন ১০ হাজার ৫০ বর্গফুট। ফোর্ট লডারডেলের অভিজাত এলাকা বে কলোনির গেটেড কমিউনিটিতে এর অবস্থান। বাড়িটিতে রয়েছে ১০টি শয়নকক্ষ, ৯টি বাথরুম, খোলামেলা রান্নাঘর, একটি সুইমিংপুল ও তিনটি গাড়ি রাখার গ্যারেজ। বাড়ির চারপাশে লেক।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে মেসি এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে বলিভিয়ার লাপাজে আছেন। আজ রাতে সেই ম্যাচটি খেলেই ফ্লোরিডায় ফিরে নতুন বাড়িতে ওঠার কথা তাঁর।
ইন্টার মায়ামিতে নাম লেখানোর আগে থেকেই অবশ্য মেসি নিয়মিত পরিবার নিয়ে ফ্লোরিডায় আসতেন। ছুটি কাটানোর জন্য তাঁর পছন্দের জায়গাগুলোর একটি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের এই অঙ্গরাজ্য।
সেখানকার পোরশে ডিজাইন টাওয়ারে ২০১৯ সালে ৯০ লাখ ডলারের (৯৮ কোটি টাকা) একটি বাড়ি কিনে রেখেছিলেন। বাল হারবার ও অ্যাভেনচুরার মাঝামাঝি ৬০ তলার সেই টাওয়ার ইন্টার মায়ামির মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়াম থেকে ২৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। তবে সেখান থেকে মাঠে আসতে প্রায়ই যানজটে পড়তে হতো বলে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মেসি।
এখন বে কলোনির নতুন বাড়ি থেকে মাঠের দূরত্ব আরও কমেছে। এখান থেকে তাঁর গাড়ি নিয়ে স্টেডিয়ামে যেতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। অভিজাত এলাকা হওয়ায় এই সড়কে খুব একটা যানজটও নেই।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষায় যেভাবে পরিবর্তন আনতে পারে এআই