আইসিটি ওয়ার্ড নিউজ ডেস্ক: আইন প্রয়োগ বাধ্যতামূলক এআই চুক্তি । ‘আইনি বাধ্যবাধকতা’ আরোপ করে এমন প্রথম এআই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ’-এর তথ্য অনুসারে, এ চুক্তির লক্ষ্য, এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেটি ‘মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের’ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।
‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অফ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নামের এ চুক্তিতে বিভিন্ন এআই ব্যবস্থার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি তুলে ধরা হয়েছে। যেমন- ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা, আইনকে সম্মান জানানো ও নিজেদের কার্যক্রম স্বচ্ছ রাখা।
যেসব দেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, তাদের অবশ্যই ‘বিভিন্ন উপযুক্ত আইনি, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে বা বজায় রাখতে হয়’, যেখানে এই কাঠামোর প্রতিফলন ঘটে।
আরও পড়ুনঃ এআই এবার কীটপতঙ্গ চাষের বিভিন্ন কৌশল শিখছে
২০১৯ সাল থেকেই এই চুক্তিটি নিয়ে কাজ চলছে। এতে এরইমধ্যে স্বাক্ষর করেছে অ্যান্ডোরা, জর্জিয়া, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, রিপাবলিক অফ মলডোভা, স্যান মারিনো এবং ইসরায়েল।
গত কয়েক মাসে এআই সুরক্ষা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, তবে এর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই স্বাক্ষরদাতাদের চুক্তিভঙ্গের বিপরীতে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।
এই নতুন চুক্তিটির আইনি প্রয়োগ বাধ্যতামূলক হওয়ার কথা থাকলেও ব্রিটিশ দৈনিক ফাইন্যানশল টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ‘এ মেনে চলার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পরিমাপ হয় মনিটরিংয়ের মাধ্যমে, যা আইন প্রয়োগের বেলায় কিছুটা দূর্বল কাঠামো হিসেবে বিবেচিত।’
আরও পড়ুনঃ চ্যাটজিপিটি কাজে লাগিয়ে আকর্ষণীয় জীবনবৃত্তান্ত তৈরির পদ্ধতি
এর পরও চুক্তিটি বিভিন্ন দেশের জন্য এআই আইনের ভিত্তি হিসাবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে যারা এআই নিয়ে নিজস্ব আইন তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেও এআই সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু আইনের ওপর কাজ করছে।
আর এরইমধ্যে এআই নিয়ে যুগান্তকারী আইন পাস করেছে ইইউ। এমনকি যুক্তরাজ্যও নিজস্ব এআই আইন তৈরির বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে।
এদিকে, এআই সুরক্ষা আইন পাস করার একেবারে দ্বারপ্রান্তে ক্যালিফোর্নিয়া, যেটির বিরুদ্ধে অবস্থান করে আসছিল ওপেনএআইয়ের মতো টেক জায়ান্টরা।
❑ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) থেকে আরও পড়ুন
আরও পড়ুনঃ হৃদরোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের শনাক্ত করবে এআই